পোর্ট সুদানে টানা ষষ্ঠ দিনের মতো শুক্রবারও ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। সেনাবাহিনীর একটি সূত্র জানায়, ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধরত আধাসামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) এই হামলার জন্য দায়ী। পোর্ট সুদান থেকে এএফপি এ তথ্য জানায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সূত্রটি আরো জানায়, ‘আমাদের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নগরীর বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে আসা শত্রুপক্ষের কিছু ড্রোন ভূপাতিত করেছে।’ প্রত্যক্ষদর্শীরা সেনাবাহিনী সমর্থিত সরকারের কার্যালয় এবং দেশটির প্রধান ত্রাণকেন্দ্র পোর্ট সুদান জুড়ে হামলার কথা জানান।
সেনাবাহিনী ও আরএসএফ-এর মধ্যে চলমান দীর্ঘ সংঘাতেও আগে পোর্ট সুদানকে নিরাপদ এলাকা ভাবা হতো। কিন্তু সেখানে গত রোববার থেকে নিয়মিত ড্রোন হামলা হচ্ছে। দূরপাল্লার এসব হামলায় দেশের একমাত্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, বৃহত্তম কার্যকর জ্বালানি ডিপো ও নগরীর প্রধান বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
শুক্রবার রাতে জাতীয় বিদ্যুৎ কোম্পানি জানায়, পোর্ট সুদানের পশ্চিমে ‘রিভার নাইল’ রাজ্যের রাজধানী আটবারায় একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। তিনটি ড্রোন দিয়ে চালানো এই হামলায় আগুন লেগে যায় এবং ‘রেড সি’ ও ‘রিভার নাইল’ রাজ্য জুড়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দেয়। এসব হামলার জন্যও আরএসএফকে দায়ী করা হয়েছে।
পোর্ট সুদান হলো দেশটিতে মানবিক সহায়তা সরবরাহের প্রধান পথ। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এই হামলায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন। তার মুখপাত্র জানান, গুতেরেস সতর্ক করে বলেছেন, এ ধরনের হামলা ‘মানবিক চাহিদা আরও বাড়াবে এবং সহায়তা কার্যক্রম কঠিন করে তুলবে।’ দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে এ পর্যন্ত কয়েক হাজার মানুষ নিহত এবং ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে। জাতিসংঘ একে বিশ্বের ‘সবচেয়ে ভয়াবহ মানবিক সংকট’ বলে অভিহিত করেছে।
সূত্র: এএফপি
এসজেড