শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তা শেষে দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষমতাসীন পিপল পাওয়ার পার্টি (পিপিপি) রোববার কিম মুন-সুকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে চুড়ান্ত করেছে। সিউল থেকে এএফপি এ সংবাদ জানিয়েছে। ডিসেম্বরে সামরিক আইন জারির পর সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে পিপিপি অস্থিরতার মধ্যে পড়ে।
৩ জুনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পিপিপির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য গত সপ্তাহে কিম প্রাথমিকভাবে দলের মনোনয়ন পান। কিন্তু শনিবার ভোর হওয়ার আগেই কিমের মনোনয়ন বাতিল করে দলটি সাবেক প্রধানমন্ত্রী হান ডাক-সুকে তার স্থলাভিষিক্ত করেন। যদিও তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য আগেই দল থেকে পদত্যাগ করেন। দলের সদস্যরা প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে কিমের পরিবর্তে হানকে করার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে এই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। ফলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কিমকে মনোনীত প্রার্থী হিসেবে পুনর্বহাল করে পিপিপি।
জাতীয় নির্বাচন কমিশনে তার প্রার্থীতা নিবন্ধনের পর কিম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজ প্রেসিডেন্ট প্রার্থীতার জন্য নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছি। উদ্বেগ প্রকাশকারী সকল নাগরিক এবং আমার সহকর্মী দলের সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চাই।’
৭৩ বছর বয়সী কিম আরও বলেন, ‘এই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি নির্ধারণ করবে কে আমাদের জাতির মুখোমুখি বর্তমান সংকট কাটিয়ে উঠতে পারে এবং আমাদের জনগণের সুখের জন্য কাজ করতে পারে। জয় নিশ্চিত করতে এবং দক্ষিণ কোরিয়াকে আরও বৃহত্তর জাতিতে পরিণত করার জন্য আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।’
কিম বলেন, শিগগিরই তিনি পার্টির সদর দপ্তরে হানের সঙ্গে দেখা করে তার ‘অসাধারণ ক্ষমতা’ কাজে লাগানোর জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন। পৃথক একটি সংবাদ সম্মেলন করে হান ঘোষণা করেন তিনি পদত্যাগ করবেন। সংবাদ সম্মেলনে হান বলেছেন, ‘বিনয়ের সঙ্গে সবকিছু মেনে নিচ্ছি এবং ফলাফলকে সম্মান করছি। আন্তরিকভাবে পিপল পাওয়ার পার্টির প্রার্থী কিম মুন-সু এবং তার সমর্থকদের এই নির্বাচনে সাফল্য কামনা করছি। এখন, আমি সবকিছু ছেড়ে একজন সাধারণ নাগরিকের জীবনে ফিরে আসছি।’
জাতীয় নির্বাচন কমিশনে প্রার্থী নিবন্ধনের সময়সীমা রোববারের পরে শেষ হচ্ছে। বিশ্লেষকরা বলছেন যে, নির্বাচনে বিরোধীদের ভূমিধস এড়াতে দেশের ডানপন্থীদের একক প্রার্থীর চারপাশে সমাবেশ করা দরকার, যেখানে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির লি জে-মিয়ং জরিপে এগিয়ে আছেন। এই সপ্তাহে প্রকাশিত একটি ন্যাশনাল ব্যারোমিটার জরিপে দেখা গেছে যে, বর্তমানে একাধিক ফৌজদারি বিচারের মুখোমুখি লি জে মিয়ং কিমের চেয়ে ৪৩ শতাংশ থেকে ২৯ শতাংশ এগিয়ে রয়েছেন।
সূত্র: এএফপি
এসজেড
