ডায়াবেটিস বা টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি অনেক ক্ষেত্রে জেনেটিক, জীবনযাত্রার ধরন, খাদ্যাভ্যাস এবং শারীরিক অবস্থার ওপর নির্ভর করে।
নিচে কিছু এমন প্রাথমিক ফ্যাক্টর তুলে ধরা হলো, যাদের মধ্যে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে:
ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিরা
ওজন বেড়ে যাওয়া (অতিরিক্ত মেদ): অতিরিক্ত মেদ, বিশেষত পেটের মেদ, ইনসুলিনের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়। যারা ওভারওয়েট বা স্থূলকায়, তাদের ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
পরিবারে ডায়াবেটিসের ইতিহাস: যদি আপনার পরিবারে (বিশেষত মা-বাবা বা ভাই-বোন) ডায়াবেটিস থাকে, তবে আপনার ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
শারীরিক অরুচি বা অলস জীবনযাপন: শারীরিক পরিশ্রমের অভাব, বসে বসে কাজ করা, অথবা পর্যাপ্ত শারীরিক কার্যক্রম না করা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়।
খাদ্যাভ্যাস: বেশি পরিমাণে পরিশোধিত চিনি, ফাস্ট ফুড, ভাজাপোড়া খাবার, এবং কম আঁশযুক্ত খাবার খাওয়া ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। অতিরিক্ত সোডিয়াম এবং প্রক্রিয়াজাত খাবারও ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
বয়স ৪৫ এর বেশি: ৪৫ বছরের পর ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেড়ে যায়, কারণ বয়সের সাথে সাথে শরীরের ইনসুলিনের কার্যকারিতা কমতে থাকে।
হাই ব্লাড প্রেসার (উচ্চ রক্তচাপ): উচ্চ রক্তচাপও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়, কারণ এটি ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে।
হাই কোলেস্টেরল: যদি রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ খুব বেশি হয় (বিশেষ করে ট্রাইগ্লিসারাইড), তবে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে।
গর্ভধারণকালীন ডায়াবেটিস (গেস্টেশনাল ডায়াবেটিস): যদি কেউ গর্ভকালীন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হন, তবে ভবিষ্যতে টাইপ ২ ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
অ্যাপনিয়া বা নিদ্রাহীনতা: স্লিপ অ্যাপনিয়া এবং অনিয়মিত ঘুমের সমস্যাও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
ঝুঁকি কমানোর উপায়
স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস (ফাইবার বেশি, চিনি কম)
নিয়মিত ব্যায়াম
স্বাভাবিক ওজন বজায় রাখা
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা
সতর্ক থাকুন, জীবনযাত্রার ছোট পরিবর্তনেও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমানো সম্ভব!
thebgbd.com/NIT