ঢাকা | বঙ্গাব্দ

গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় আ. লীগের প্রচারণায় নিষেধাজ্ঞা

বৈঠকের সারসংক্ষেপে বলা হয়, ‘কতিপয় সন্ত্রাসী কার্য প্রতিরোধ এবং তাদের কার্যকর শাস্তির বিধানসহ আনুষঙ্গিক বিষয়াদি সম্পর্কে বিধান প্রণয়ন করার নিমিত্ত সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯ প্রণয়ন করা হয়।’
  • নিজস্ব প্রতিবেদক | ১১ মে, ২০২৫
গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় আ. লীগের প্রচারণায় নিষেধাজ্ঞা ফাইল ছবি

সন্ত্রাসবিরোধী অধ্যাদেশ অনুমোদন প্রসঙ্গ তুলে ধরে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিস মাহমুদ জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের পক্ষে বা সমর্থনে কোন প্রেস বিবৃতির প্রকাশনা বা মুদ্রণ কিংবা গণমাধ্যম, অনলাইন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা অন্য যে কোন মাধ্যমে যে কোন ধরণের প্রচারণা, অথবা মিছিল, সভা-সমাবেশ বা সংবাদ সম্মেলন আয়োজন বা জনসম্মুখে বক্তৃতা প্রদান নিষিদ্ধ করিবে।

গতকাল শনিবার রাতে আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। রোববার (১১ মে) সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদনে স্বাক্ষর করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

বৈঠকের সারসংক্ষেপে বলা হয়, ‘কতিপয় সন্ত্রাসী কার্য প্রতিরোধ এবং তাদের কার্যকর শাস্তির বিধানসহ আনুষঙ্গিক বিষয়াদি সম্পর্কে বিধান প্রণয়ন করার নিমিত্ত সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯ প্রণয়ন করা হয়।’

ওই আইনের উদ্দেশ্য পূরণে, সরকার কোনো ব্যক্তি বা সত্ত্বা সন্ত্রাসী কার্যের সহিত জড়িত রয়েছে মর্মে যুক্তিসংগত কারণের ভিত্তিতে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, ওই ব্যক্তিকে তফসিলে তালিকাভুক্ত করতে পারে বা সত্তাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা ও তফসিলে তালিকাভুক্ত করতে পারে।

নতুন এই বিধান যুক্তিকরণের ব্যাপারে বলা হয়, বর্তমান আইনে কোনো সত্ত্বার কার্যক্রম নিষিদ্ধকরণের বিষয়ে কোনো বিধান নেই। উক্ত বিষয়টি স্পষ্টীকরণসহ বিধান সংযোজন আবশ্যক হেতু সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯-কে সময়োপযোগী করে উক্ত আইনের অধিকতর সংশোধন সমীচীন ও প্রয়োজন।’

এদিকে আগামীকাল সোমবার এ বিষয়ে গেজেট প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম।

তিনি বলেন, ‘এই সংশোধনীর মাধ্যমে এখন থেকে সন্ত্রাসী কার্যকলাপে জড়িত রাজনৈতিক দলসহ যেকোনো সত্তার কার্যক্রম আইনের আওতায় নিষিদ্ধ হতে পারে।’


thebgbd.com/NIT