পোর্ট সুদানে অবস্থিত প্রধান জ্বালানি ডিপো ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় লাগা আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। রোববার সুদানের সিভিল ডিফেন্স এ তথ্য জানিয়েছে। গত সপ্তাহে ড্রোন হামলার পর এ আগুন ছড়িয়ে পড়ে। হামলার জন্য আধাসামরিক বাহিনীকে দায়ী করা হচ্ছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া বিবৃতিতে সিভিল ডিফেন্স পরিচালক ওসমান আত্তা জানান, ‘ব্যাপক পরিমাণে জ্বালানি মজুত ছিল এমন এলাকায় আগুন পড়ে। তবে পরিকল্পিত অভিযানের মাধ্যমে ফোম ব্যবহার করে তা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে।’
সোমবারের ড্রোন হামলায় সুদানের যুদ্ধকালীন রাজধানী পোর্ট সুদানের জ্বালানি ডিপোতে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে আগুন আশপাশের গুদামগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ে। আগুন থেকে ‘বড় ধরনের বিপর্যয়’ ঘটতে পারে বলে সেসময় শঙ্কা জানায় দেশটির সেনা সমর্থিত সরকার।
দুই বছর ধরে সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) এর মধ্যে সংঘাত চলছে। যুদ্ধের পুরো সময় পোর্ট সুদানকে তুলনামূলক নিরাপদ এলাকা হিসেবে বিবেচিত করা হচ্ছিলো। কিন্তু গত রোববার থেকে সেখানেও নিয়মিত ড্রোন হামলা চালাচ্ছে আরএসএফ।
তাদের দূরপাল্লার হামলায় ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো। যার মধ্যে রয়েছে, সুদানের একমাত্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, সবচেয়ে বড় জ্বালানি ডিপো এবং শহরের প্রধান বিদ্যুৎকেন্দ্র।
শনিবার এএফপিকে এক সামরিক সূত্র জানায়, পোর্ট সুদানের পশ্চিমে প্রায় ১২০ কিলোমিটার দূরের জেবেইত ও সিংকাট শহরে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে দুটি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে। রোববার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উত্তর সুদানের আতবারা শহরের বিমানবন্দরেও ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা সংঘাতে উত্তরপূর্ব আফ্রিকার দেশটিতে প্রাণ হারিয়েছেন দশ হাজারের বেশি মানুষ। বাস্তুচ্যুত হতে হয়েছে ১ কোটি ৩০ লাখ বাসিন্দাকে। জাতিসংঘ এটিকে বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ মানবিক সংকট হিসেবে উল্লেখ করেছে।
সূত্র: এএফপি
এসজেড