লেখক, চিন্তক ও কলামিস্ট ফরহাদ মজহার বলেছেন, ‘এ পর্যন্ত যতগুলো সংস্কার কমিশন হয়েছে, অধিকাংশ কমিশনের রিপোর্ট খুব বেশি ইতিবাচক নয়। কিন্তু সুপারিশগুলো নিয়ে আলোচনা করতে পারি, কোনো সমস্যা নেই। আমরা বলব—এ সমস্ত সুপারিশের মধ্যে সত্যিকারের গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিট নেই।
একটা মাত্র (নারী) কমিশনের রিপোর্ট ছাড়া। আরেকটি আছে শুনেছি, সেটা হচ্ছে শ্রম কমিশন। কজন নাগরিক হিসেবে নারীর ব্যক্তি অধিকারের কথাই কমিশন বলেছে।সে যদি মনে করে তার সম্পত্তি বণ্টন রাষ্ট্রীয় আইনে হবে, এটা খারাপ কিছু বলেছে কি? আমি যদি মনে করি পারিবারিক আইনের মধ্যে আমি সম্পত্তি বণ্টন চাই না, আমি তো চাইতেই পারি রাষ্ট্রের কাছে। তারা কি বলেছে শরিয়াহ আইন বদলাও? কোথাও তো তা লিখেনি। কোরআনকে নতুনভাবে ব্যাখ্যা করতেও বলেনি।’
তিনি বলেন, ‘নারী কমিশনের রিপোর্ট বাদ দেন, বঙ্গোপসাগরে ফেলে দেন। কিন্তু আপনি বলুন, আপনি তাদের জন্য কী করতে চান? সে তো দেশের নাগরিক। আপনি যদি বলেন এ ( যৌন) পেশা বন্ধ করবেন, তাহলে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করুন। আইন সংস্কারের কথা যখন উঠেছে, তখন তাদের নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করতেই হবে।’
লেখক, চিন্তক ও কলামিস্ট ফরহাদ মজহার গত রোববার (১১ মে) একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে বিশেষ সাক্ষাতকারে নিজের মতামত এভাবে প্রকাশ করেন।
thebgbd.com/NA