ঢাকা | বঙ্গাব্দ

সেভেন সিস্টার্সসহ নেপাল-ভুটানের সঙ্গে যৌথ উন্নয়ন কৌশলের আহ্বান

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান এবং ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্যের (সেভেন সিস্টার্স) মধ্যে সমন্বিত অর্থনৈতিক কৌশলের আহ্বান জানিয়েছেন।
  • নিজস্ব প্রতিবেদক | ১২ মে, ২০২৫
সেভেন সিস্টার্সসহ নেপাল-ভুটানের সঙ্গে যৌথ উন্নয়ন কৌশলের আহ্বান ছবি : সংগৃহীত

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান এবং ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্যের (সেভেন সিস্টার্স) মধ্যে সমন্বিত অর্থনৈতিক কৌশলের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি জলবিদ্যুৎ, স্বাস্থ্যসেবা এবং সড়ক সংযোগে আন্তঃসীমান্ত সহযোগিতার সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

সোমবার (১২ মে) ঢাকায় নেপাল দূতাবাসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে নেপালের ফেডারেল সংসদের প্রতিনিধি সভার উপ-স্পিকার ইন্দিরা রানা সৌজন্য সাক্ষাতে এলে প্রধান উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনুস আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য যৌথ অবকাঠামো ও জ্বালানি উদ্যোগ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান এবং ভারতের সাতটি উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যের জন্য একটি সমন্বিত অর্থনৈতিক পরিকল্পনা থাকা উচিত। আলাদাভাবে নয়, একসাথে কাজ করলেই আমাদের সবার লাভ বেশি।’

আলোচনার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল বাংলাদেশ-নেপাল জলবিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা। গত অক্টোবরে স্বাক্ষরিত বাংলাদেশ-নেপাল-ভারত ত্রিপক্ষীয় বিদ্যুৎ বিক্রয় চুক্তির উল্লেখ করে, যার মাধ্যমে ভারতের গ্রিড ব্যবহার করে নেপাল থেকে বাংলাদেশ ৪০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ আমদানি করছে, উভয় পক্ষই বৃহত্তর পরিসরে আরও জলবিদ্যুৎ উদ্যোগের গুরুত্ব তুলে ধরেন।

প্রধান উপদেষ্টা আঞ্চলিক স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারণে বাংলাদেশের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘রংপুরে আমাদের নির্মাণাধীন ১,০০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল নেপাল ও ভুটানের রোগীদের জন্যও উন্মুক্ত থাকবে। আমরা আঞ্চলিক স্বাস্থ্য নিরাপত্তা ও সমবায় সমৃদ্ধিতে বিশ্বাস করি।’

উপ-স্পিকার ইন্দিরা রানা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের সব সংসদ সদস্যই বাংলাদেশকে নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী। আমরা অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব শক্তিশালী করতে এবং জনগণের মধ্যে সংযোগ বাড়াতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।’

তিনি উল্লেখ করেন, বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, বিশেষ করে মেডিকেল কলেজে, ২,৭০০-এর বেশি নেপালি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। তিনি বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার প্রশংসা করেন এবং আরও শিক্ষা বিনিময় ও একাডেমিক সহযোগিতার আহ্বান জানান।

দুই পক্ষই সরাসরি সড়ক যোগাযোগ উন্নয়নের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নেপালের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ উন্নত হলে আঞ্চলিক বাণিজ্য ব্যয় হ্রাস পাবে এবং পণ্য ও মানুষের চলাচল সহজ হবে।

সাক্ষাতে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভাণ্ডারি, প্রধান উপদেষ্টার এসডিজি সমন্বয়ক লামিয়া মোর্শেদ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ইশরাত জাহান।

thebgbd.com/NA