হামাস সোমবার জানিয়েছে, তাদের সশস্ত্র শাখা ইজ্জেদ্দিন আল-কাসসাম ব্রিগেড যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের দ্বৈত নাগরিক এডান আলেকজান্ডারকে মুক্তি দিয়েছে। গোষ্ঠীর ঘনিষ্ঠ একটি সূত্রের বরাতে গাজা সিটি থেকে এএফপি জানায়, তাকে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসে আন্তর্জাতিক রেড ক্রসের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে এডানকে মুক্তি দেয়া হলেও যুদ্ধবিরতি নয় বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
হামাসের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে সংযোগ ও মধ্যস্থতাকারীদের যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে আল-কাসসাম ব্রিগেড জায়নিস্ট সেনা ও মার্কিন নাগরিক এদান আলেকজান্ডারকে মুক্তি দিয়েছে।’ গাজায় হামাসের হাতে ১৯ মাস বন্দি থাকার পর ইসরাইলি-মার্কিন জিম্মি এডান আলেকজান্ডার তার পরিবারের কাছে ফিরেছেন।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর যখন হামাস এডানকে ধরে নিয়ে যায় তখন ২১ বছর বয়সী এডান গাজার সীমান্তে ইসরাইলি সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। সোমবার ইসরাইল গাজায় তাদের সামরিক অভিযান কয়েক ঘণ্টার জন্য স্থগিত রাখে যাতে এডান ইসরায়েলে সহজে ফিরতে পারেন। এরপর আবার ইসরায়েলের হামলা শুরু হয়।
হামাসের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বিবিসি’কে জানিয়েছেন, ‘মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফরের আগে একটি নতুন যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানোর প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এই মুক্তি দেয়া হয়েছে।’ ট্রাম্প আলেকজান্ডারের মুক্তির জন্য তার পরিবারকে ‘অভিনন্দন’ জানিয়েছেন।
টেলিভিশনের ছবিতে দেখা গেছে, এডান আলেকজান্ডার ইসরায়েলি সামরিক ঘাঁটিতে তার বাবা-মা এবং ভাইবোনদের জড়িয়ে ধরে হাসছেন। এক বিবৃতিতে, তার পরিবার মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। একই সঙ্গে ইসরায়েলি সরকার এবং আলোচকদের অবশিষ্ট ৫৮ জন জিম্মিকে মুক্ত করার জন্য কাজ চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে, নেতানিয়াহু বলেছেন, গাজায় ইসরাইলের সামরিক চাপ এবং ট্রাম্পের রাজনৈতিক চাপের কারণে আলেকজান্ডারের মুক্তি সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, কোনও যুদ্ধবিরতি হবে না এবং গাজায় সামরিক অভিযান তীব্রতর করার পরিকল্পনা অব্যাহত রয়েছে।অন্যদিকে, নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে, ‘ইসরাইল কোনো ধরনের যুদ্ধবিরতিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ নয়।’
সূত্র: এএফপি
এসজেড
