প্রচণ্ড গরম, বজ্রঝড় আর ঘূর্ণিঝড়ের জন্য berিয়ে ওঠা মে মাস আবারও তার পরিচিত রূপে হাজির হয়েছে। আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা বলছেন, মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত সূর্য কর্কটক্রান্তি রেখার আশপাশে অবস্থান করে। ফলে এই সময়ে ভূখণ্ডের ওপর দিয়ে সূর্যের প্রখর তাপ পড়ে। বিশেষত বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলের ওপর দিয়ে গিয়েছে কর্কটক্রান্তি রেখা, যার কারণে এই অঞ্চল আরও বেশি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
ভারতের বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও মধ্যপ্রদেশ থেকে বয়ে আসা খরখরে শুষ্ক বাতাস বাংলাদেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে প্রবেশ করে। এর সঙ্গে যুক্ত হয় বাড়তি তাপমাত্রা, জলীয় বাষ্পের আধিক্য এবং কম বায়ুপ্রবাহ, ফলে তাপমাত্রা অসহনীয় হয়ে ওঠে। বিশেষ করে ফরিদপুর, কুষ্টিয়া ও চুয়াডাঙ্গার মতো অঞ্চলগুলো সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়। অনেক সময় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যায়।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ড. আবুল কালাম মল্লিক বলেন, এই অঞ্চলের ভৌগোলিক অবস্থা এবং বৈশিষ্ট্যই চরমভাবাপন্ন আবহাওয়ার পেছনে বড় ভূমিকা রাখে।
বিগত ছয় বছরে মে মাসেই ফণী, আম্ফান, ইয়াস, মোখা এবং রেমাল নামের শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশ ও উপকূলবর্তী অঞ্চলে আঘাত হেনেছে। এবারও আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ২৩ মে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যা পরে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। যদি তা হয়, তাহলে ঘূর্ণিঝড়টির নাম হবে ‘শক্তি’। যদিও এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না এটি কতটা ভয়াবহ হবে।
এ ছাড়া বজ্রপাতের ঘটনাও বেড়েছে। জাতিসংঘের তথ্য মতে, প্রতিবছর বাংলাদেশে গড়ে ৩০০ জন বজ্রপাতে প্রাণ হারায়। তাই ঝড়ের সময় খোলা জায়গা ত্যাগ করে নিরাপদ স্থানে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
thebgbd.com/NIT