দেশের কিডনি রোগীদের সুখবর দিচ্ছে সরকার। প্রতিবছর ৫ হাজার রোগীর কিডনি প্রতিস্থাপন প্রয়োজন হলেও দাতা সংকটে মাত্র ৪০০ জনের প্রতিস্থাপন হয়। তাই কিডনি প্রতিস্থাপন সহজ করতে আইন সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
মানবদেহে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সংযোজন আইন নামে আইনটি একমাসের মধ্যে সংশোধন হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক সায়েদুর রহমান। ফলে কিডনি রোগীর জন্য দাতা সংকট কেটে যাবে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, বাংলাদেশে প্রায় ৩ কোটি ৮২ লাখ মানুষ কিডনি রোগে আক্রান্ত। বছরে প্রায় ৪০ হাজার রোগীর কিডনি নষ্ট হয়। যাদের কিডনি প্রতিস্থাপন প্রয়োজন। কিন্তু, বছরে ৫ হাজার কিডনি প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন হলেও মাত্র ৪০০টির মতো প্রতিস্থাপন করা যায়। হিসাব বলছে, প্রতি বছর ১৭ হাজারের বেশি মানুষ কিডনি রোগে মারা যান।
এ সব তথ্যের সত্যতা মেলে রাজধানীর কিডনি হাসপাতালে গিয়ে । ৫৫ বছরের রহিমা বেগম দুই মাস ধরে ভর্তি এই হাসপাতালে। পাঁচ বছর আগে তার দুটো কিডনি অকেজো হলেও শুধু দাতা না পাওয়ায় প্রতিস্থাপন সম্ভব হচ্ছে না।
২০১৮ সালের ‘মানবদেহে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন সংশোধন আইন’ অনুযায়ী, বাবা-মা, ছেলে-মেয়ে, ভাই-বোন, স্বামী-স্ত্রীসহ ২২ ধরনের নিকটাত্মীয় কিডনি দান করতে পারেন। এর বাইরে কেউ দিলে সেটা অপরাধ।
এবার আইনের এই জটিলতা ভাঙছে অন্তর্বর্তী সরকার। বৈধ কিডনিদাতার তালিকায় যুক্ত হবে রোগীর ভাতিজা-ভাতিজি এবং ভাগ্নে-ভাগ্নির নাম। সুযোগ তৈরি হবে ‘কিডনি সোয়াপ’ বা ডোনার অদল-বদলের।
অধ্যাপক সায়েদুর রহমান বলেন, রোগীর ডোনারের সাথে ম্যাচ না করলেও এখন আর সমস্যা হবে না। অন্য রোগীর ডোনারের সাথে ম্যাচ করলেই হবে। তৈরি হবে সরকারি তথ্য ভান্ডার। যেখানে কিডনি প্রতিস্থাপন রোগীর তথ্য জমা থাকবে।
বিশেজ্ঞরা বলছেন, দাতা সংকটে কারণেই কিডনি প্রতিস্থাপন কঠিন। আইনটি সংশোধন হলে এই সংকট কমে আসবে।
thebgbd.com/NA