ঢাকা | বঙ্গাব্দ

কোরবানি না দিয়ে কী আকিকা করা যাবে ?

আকিকা আরবি শব্দ। এর আভিধানিক অর্থ কাটা, আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করা, জানের সদকা দেয়া ও আল্লাহর নিয়ামতের মোকাবিলায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা।
  • নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৫ মে, ২০২৫
কোরবানি না দিয়ে কী আকিকা করা যাবে ? ছবি : সংগৃহীত।

আকিকা আরবি শব্দ। এর আভিধানিক অর্থ কাটা, আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করা, জানের সদকা দেয়া ও আল্লাহর নিয়ামতের মোকাবিলায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা। ইসলামি পরিভাষায় আকিকা হচ্ছে, নবজাতকের পক্ষ থেকে পশু জবেহ করা। আলেমদের অনেকেই আকিকা করাকে সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ বলেছেন।

কিছু অঞ্চলে এমন একটি ধারণা আছে যে, যার ছোটবেলায় আকিকা করা হয়নি তার কোরবানি হয় না। এ ছাড়া অনেকে কোরবানির চেয়ে আকিকাকে এত গুরুত্ব দেন যে কোরবানি না করে আগে আকিকার জন্য পশু জবেহ করেন। এ ক্ষেত্রে কেউ কেউ প্রশ্ন করেন, কোরবানি না করে আকিকা করা যাবে কি না।

এর সহজ উত্তর হলো, কারো ওপর কোরবানি ওয়াজিব না হলে তাকে কোরবানি করতে হবে না। সে আকিকা দিলেও সমস্যা নেই। যার ওপর কোরবানি ওয়াজিব তাকে কোরবানি করতে হবে। এ ক্ষেত্রে আকিকা ও কোরবানির মাঝে কোনো সম্পর্ক নেই।

আকিকা এক আমল, কোরবানি আরেক আমল। আকিকা মোস্তাহাব ও কোরবানি ওয়াজিব। আকিকা সারা বছর করা যায় আর কোরবানি শুধু তিন দিন করা যায়।

কোরবানির দিনসমূহ তথা ১০, ১১ ও ১২ জিলহজ এই তিন দিনে নিত্যপ্রয়োজনীয় খরচ ছাড়া যে ব্যক্তির কাছে সাড়ে বায়ান্ন তোলা রুপা বা এর সমমূল্য বা সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ বা এর সমমূল্য পরিমাণ সম্পদ থাকবে, তার ওপর কোরবানি করা আবশ্যক।

নিজের ওপর ওয়াজিব কোরবানি আদায় করার পর মা-বাবাসহ যে কারো নামেই একাধিক কোরবানি করা যায়। চাইলে কোরবানির পশুর সঙ্গে আকিকার নিয়তও করা যায়। তাই বলে আকিকা না করে কোরবানি করা যায় না এমন ধারণা ঠিক নয়। (সূত্র: মুজামুল আনহার, হেদায়া, ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়্যা)

thebgbd.com/NA