ঢাকা | বঙ্গাব্দ

আবারও আন্দোলনের ঘোষণা দিলেন কুয়েট শিক্ষার্থীরা

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দুপুরে বিভিন্ন স্লোগানে স্লোগানে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে আসেন। পরে ভেতরে প্রবেশ করে ফ্লোরে বসে পড়েন তারা।
  • নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৫ মে, ২০২৫
আবারও আন্দোলনের ঘোষণা দিলেন কুয়েট শিক্ষার্থীরা ছবি : সংগৃহীত।

একাডেমিক কার্যক্রম শুরু, নিরপেক্ষ নতুন তদন্ত কমিটি গঠন ও পাঁচ দফা দাবি বাস্তবায়নে রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে অবস্থান নিয়ে আবারও আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দুপুরে বিভিন্ন স্লোগানে স্লোগানে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে আসেন। পরে ভেতরে প্রবেশ করে ফ্লোরে বসে পড়েন তারা।

শিক্ষার্থীরা জানান, শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করাসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে গত সোমবার ৩৭ শিক্ষার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় কুয়েট কর্তৃপক্ষ। ১৫ মে বিকেল ৫টার মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে। অথচ তাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা ভিত্তিহীন। এ সময় তদন্ত কমিটির বিরুদ্ধে প্রহসনের অভিযোগ তুলেছেন তারা।

শিক্ষার্থী রাহাতুল ইসলাম বলেন, দ্রুত একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করতে হবে। একইসঙ্গে নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন ও পাঁচ দফা দাবী আদায়ে রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে। অন্যথায় আবারও কঠোর হওয়ার ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।

কুয়েটের নবনিযুক্ত অন্তর্বর্তী উপাচার্য শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠক করলেও সংকট নিরসন হয়নি।


এদিকে সকাল ১১টা পর্যন্ত কোনো শিক্ষক শ্রেণিকক্ষে ফেরেননি। এ নিয়ে টানা ৮৬ দিন শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ আছে। সেশনজট বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. ফারুক হোসেন বলেন, আমরা শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের ওপর হামলার সুষ্ঠু বিচার চাই। শিক্ষার্থীদের পাঁচ দাবির যেটুকু এখনও বাস্তবায়ন হয়নি, তা বাস্তবায়ন করা হোক। তবে শিক্ষকদের লাঞ্ছিত এবং কটূক্তি করা শিক্ষার্থীদেরও শাস্তি দিতে হবে।

১৫ মে বিকেল ৫টার মধ্যে বিষয়টি নিশ্চিত না হলে প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকেও বিরত থাকার কথা জানিয়েছেন শিক্ষকরা।

এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হযরত আলী বলেন, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে সংকট নিরসনের চেষ্টা করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবি নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্রদলের নেতাকর্মী ও বহিরাগতদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে দেড় শতাধিক আহত হন। ওই দিন কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী কুয়েটের অপসারিত উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্যকে মেডিকেল সেন্টারে অবরুদ্ধ করে রাখেন। ওই শিক্ষার্থীরা উপাচার্যসহ কয়েকজন শিক্ষককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত এবং গালাগাল করেন। এ ঘটনার পর থেকে কুয়েটে ক্লাস, পরীক্ষাসহ একাডেমিক সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। কুয়েটে আগে থেকেই প্রায় দেড় বছরের সেশনজট রয়েছে। এর ওপর গত আড়াই মাস কোনো ক্লাস ও পরীক্ষা হয়নি। এ অবস্থা চলমান থাকায় বেড়েছে সেশনজট।


thebgbd.com/NA