বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ—এমন মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) রাজধানীর বনানীতে ‘সামষ্টিক অর্থনীতি নিয়ে মাসিক বিশ্লেষণ’ (এমএমআই) শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই)।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেন, “উন্নয়নের জন্য অতিরিক্ত সংস্কার নয়, প্রয়োজন সঠিক নীতি গ্রহণ ও বাস্তবায়নে সমন্বয়।” তিনি উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেন, “জাপান মাত্র ১৫ বছরে অর্থনৈতিকভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল। এশিয়ার আরও অনেক দেশও ১০–১৫ বছরের ব্যবধানে শক্তিশালী অর্থনীতি গড়ে তুলেছে।”
তিনি অভিযোগ করেন, আগের সরকারগুলো এ বিষয়ে সুস্পষ্ট লক্ষ্য ও সমন্বিত পরিকল্পনার অভাবে পিছিয়ে ছিল।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান অনুষ্ঠানে বলেন, “অর্থনৈতিক খাতের শঙ্কা থেকে অনেকটাই বেরিয়ে এসেছে বাংলাদেশ। সামষ্টিক অর্থনীতির নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।”
অনুষ্ঠানে পিআরআইয়ের নির্বাহী পরিচালক খুরশীদ আলম সূচনা বক্তব্য দেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পিআরআইয়ের মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. আশিকুর রহমান এবং জাইদি সাত্তার। তারা বৈদেশিক খাত, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট এবং বিনিয়োগ প্রবণতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলীয় হাইকমিশনের উপপ্রধান ক্লিনটন পবকে এবং দ্বিতীয় সচিব জোশুয়া গ্যাসুটান।
পিআরআইয়ের মাসিক অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ (এমএমআই) প্রতিবেদনে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি, বিনিয়োগের প্রবণতা, রপ্তানি আয়ের চিত্র, প্রবাসী আয় এবং সামষ্টিক অর্থনীতির সার্বিক চিত্র তুলে ধরা হয়।
অনুষ্ঠানের বক্তারা মত দেন যে, এলডিসি উত্তরণ শুধু একটি অর্থনৈতিক পরিবর্তন নয়—এটি একটি কৌশলগত রূপান্তর, যেখানে সুশাসন, নীতি-সমন্বয় ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
thebgbd.com/NIT