ঢাকা | বঙ্গাব্দ

আদালতের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প

অভিবাসনপ্রত্যাশীকে যথাযথ আইনি লড়াইয়ের সুযোগ না দিয়ে সরিয়ে দেওয়া সংবিধান লঙ্ঘনের শামিল।
  • অনলাইন ডেস্ক | ১৭ মে, ২০২৫
আদালতের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প আদালতের বাইরেও ট্রাম্পের সমালোচনা।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার দেশটির সুপ্রিম কোর্টের তীব্র সমালোচনা করেছেন। ভেনিজুয়েলার কুখ্যাত গ্যাং ‘ত্রেন দে আরাগুয়া’ (টিডিএ)'র সন্দেহভাজন সদস্যদের বিতাড়নের নির্দেশ আটকে দেওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেছেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট আমাকে আমার নির্বাচিত হওয়ার দায়িত্ব পালন করতে দিচ্ছে না।’


ওয়াশিংটন থেকে এএফপি জানায়, নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশালে ট্রাম্প এই মন্তব্য করেন। সুপ্রিম কোর্টের ৭-২ সংখ্যাগরিষ্ঠ রায়ে বলা হয়, বিতাড়নের আগে এসব অভিবাসনপ্রত্যাশীকে যথাযথ আইনি লড়াইয়ের সুযোগ না দিয়ে সরিয়ে দেওয়া সংবিধান লঙ্ঘনের শামিল।


ট্রাম্প প্রশাসন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১৭৯৮ সালের ‘এলিয়েন এনিমিজ অ্যাক্ট’ প্রয়োগ করে টিডিএ গ্যাং সদস্যদের সরাসরি বিতাড়নের চেষ্টা চালাচ্ছেন, যা অতীতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানি- মার্কিনদের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করা হয়।


‘সংবিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জাতীয় নিরাপত্তা’


সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টা আগে  নোটিশ দিলে যথাযথ আইনি সহায়তা পাওয়ার উপায় থাকে না। ফলে এটি গ্রেপ্তারদের আইনি অধিকারের পরিপন্থী। তবে রায়ে স্পষ্ট করে বলা হয়, তারা শুধু নোটিশের প্রশ্নে রায় দিচ্ছেন এবং বিতাড়নের মৌলিক বৈধতা নিয়ে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন না। বিষয়টি দ্রুত পর্যালোচনার জন্য নিম্ন আদালতে ফেরত পাঠানো হয়েছে। রায়ে আরও উল্লেখ করা হয়, একটি ঘটনায় এক সালভাদোরিয়ান নাগরিককে ‘ভুলক্রমে’ টিডিএ সদস্যদের সঙ্গে পাঠিয়ে দেওয়া হয় এবং প্রশাসন তাকে ফিরিয়ে আনতে ‘অক্ষম’ বলে দাবি করছে।


সামরিক আইন প্রয়োগে দ্বিধাবিভক্ত আদালত


ট্রাম্প দাবি করছেন, টিডিএ গ্যাং যুক্তরাষ্ট্রে ‘শত্রুভাবাপন্ন কার্যকলাপ’ চালাচ্ছে এবং এটি একটি ‘আগ্রাসী অনুপ্রবেশ বা লুণ্ঠনমূলক অভিযান’। তিনি তাদের বিতাড়নের পক্ষে জাতীয় নিরাপত্তার যুক্তি তুলে ধরছেন। তবে এই আইনের প্রয়োগ নিয়ে ফেডারেল বিচারকদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। তিনজন বিচারক এটিকে অসাংবিধানিক বললেও, একজন ট্রাম্প-নিযুক্ত বিচারক তা বৈধ বলে মত দেন।


‘অবৈধ অভিবাসীদের সরানোই ছিল প্রতিশ্রুতি’


ট্রাম্প তার পোস্টে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এই সিদ্ধান্তের মানে হলো, সরকারকে খুনি, মাদক পাচারকারী ও গ্যাং সদস্যদের সরাতে দীর্ঘ, জটিল ও ব্যয়বহুল আইনি প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে যেতে হবে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এক খারাপ ও বিপজ্জনক দিন।’


ট্রাম্প এমন সময় এই বিতাড়নের উদ্যোগ নিয়েছেন, যখন তিনি আবারও অবৈধ অভিবাসীদের ব্যাপারে কঠোর অবস্থান নিচ্ছেন এবং মেক্সিকো সীমান্তে সেনা মোতায়েন, কানাডা ও মেক্সিকোর ওপর শুল্ক আরোপ এবং টিডিএ ও এমএস-১৩-এর মতো গ্যাংগুলোকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন।


সূত্র: এএফপি 


এসজেড