ভারতের দিক থেকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে ‘পুশইন’ ঠেকাতে সীমান্তবর্তী এলাকার জনগণের সহযোগিতা চেয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।
শনিবার (১৭ মে) শ্যামনগরে সুন্দরবনের রায়মঙ্গল নদীতে বিজিবির তৃতীয় ভাসমান বিওপি ‘বয়েসিং ভাসমান বিওপি’ উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
ডিজি জানান, পুশইন মূলত সিলেট, কুড়িগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের কিছু দুর্গম এলাকায় বেশি হচ্ছে। সীমান্ত বড় হওয়ায় প্রতিটি জায়গায় পাহারা দেওয়া সম্ভব নয়, তাই স্থানীয়দের নজরদারি ও তথ্য দিয়ে সহায়তা করার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, “পুশইন হচ্ছে নিয়ম বহির্ভূত। যারা বাংলাদেশি, তাদের যথাযথ প্রক্রিয়ায় হস্তান্তরের মাধ্যমে ফেরত আনা উচিত। এটা দুই দেশের জন্যই ভালো।”
পুশইন হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকে ২০–৩০ বছর আগে ভারতে গিয়েছিলেন এবং এখন ফেরত আসছেন দাবি করে তিনি জানান, তাদের অনেকের আইডি বা আধারকার্ড ভারতেই রেখে দেওয়া হয়েছে, যা শনাক্তে জটিলতা তৈরি করছে।
ভারতের দিক থেকে পুশইনের মাধ্যমে অপরাধী প্রবেশের ঝুঁকি থাকলেও বিজিবি সব সম্ভাবনা মাথায় রেখে কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে বলেও জানান ডিজি।
এ সময় সুন্দরবনের চোরাচালান ঠেকাতে নির্মিত ভাসমান বিওপি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “রায়মঙ্গল চ্যানেল দিয়ে বড় একটি চোরাচালান চক্র সক্রিয় ছিল। তাই এই ভাসমান বিওপি স্থাপন করা হয়েছে, যা স্থানীয়ভাবে নারায়ণগঞ্জে তৈরি।”
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীসহ বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
thebgbd.com/NIT