বিক্ষোভের মুখে হাইতির বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেওয়ায় পোর্ট-অ-প্রিন্স এবং দেশের কেন্দ্রীয় অঞ্চলে বিদ্যুৎ বিভ্রাট অব্যাহত রয়েছে। পরিষেবা প্রদানকারীরা এ তথ্য জানিয়েছেন। পোর্ট-অ-প্রিন্স থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন হাইতি বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বিদ্যুৎ বিভ্রাটকে ‘জঘন্য’ নাশকতা হিসেবে নিন্দা জানিয়েছে। মঙ্গলবারের বিক্ষোভের মুখে পেলিগ্রে বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে দেয়ার ফলে এর পরিষেবা প্রদানকারী অঞ্চলগুলোতে ‘ সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। হাইতির রাজধানীর ৮৫ শতাংশেরও বেশি এলাকা শক্তিশালী গ্যাংদের নিয়ন্ত্রণে, যারা বারবার আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং স্থানীয়দের ওপর আক্রমণ চালিয়ে থাবে।
আইনজীবী এবং বিক্ষোভ কর্মী রোবেনসন মাজারিন বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বন্ধ করে দেওয়া নাগরিক সমাজের বিক্ষোভকারীদের প্রতিনিধিত্বকারী এএফপিকে বলেন, কেন্দ্রীয় শহর মিরেবালাইস এবং সাউত ডি'ইউ-কে গ্যাং কার্যকলাপ থেকে অরক্ষিত রাখার প্রতিক্রিয়ায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকার এই দুটি শহরকে অপরাধী চক্রের হাতে ছেড়ে দেওয়ায় আমরা জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।মধ্য অঞ্চলের এনগেজড সিটিজেন্স মুভমেন্টের সমন্বয়কারী মাজারিন বলেন, ‘দস্যুদের তাড়িয়ে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় বাহিনী মোতায়েন করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। যতদিন এই পরিস্থিতি থাকবে, উৎপাদন কেন্দ্রটি বন্ধ থাকবে’।
৩১ মার্চ থেকে, ভিভ আনসানম গ্যাং জোট মিরেবালাইসের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং একটি কারাগার থেকে ৫১৫ জন বন্দিকে পালাতে সহায়তা করেছে। ভিভ আনসানম গত ২৩ এপ্রিল দেশের অন্যতম বৃহৎ স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী মিরেবালাইস বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের রোগীদের পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ করে দিতে এবং সরিয়ে নিতে বাধ্য করেন।
হাইতি আমেরিকার সবচেয়ে দরিদ্র দেশ, এবং এর রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে সহিংস অপরাধী দলগুলোর উত্থান ঘটেছে। যাদের বিরুদ্ধে খুন, ধর্ষণ, লুটপাট এবং অপহরণের অভিযোগ রয়েছে। দেশটি একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কর্তৃক পরিচালিত হচ্ছে এবং গত ফেব্রুয়ারি থেকে সহিংসতার নতুন মাত্রা দেখা দিয়েছে।
সূত্র: এএফপি
এসজেড