ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যাকাণ্ডে জড়িত ‘প্রকৃত’ অপরাধীদের গ্রেফতারের দাবিতে বেঁধে দেওয়া ৪৮ ঘণ্টার সময়সীমা শেষ হওয়ায় আজ রবিবার আবারও শাহবাগ থানা ঘেরাও করেছেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে প্রায় দেড় ঘণ্টা শাহবাগ থানা ঘেরাও করে রাখেন তারা। তখন তারা ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে থানা প্রাঙ্গণ থেকে সরে যান।
আজ সকালে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকও সংহতি জানান। পরে সেখান থেকে মিছিল নিয়ে শাহবাগ থানার সামনে অবস্থান নেন তারা।
শাহবাগ থানার ডিউটি অফিসার সাব-ইন্সপেক্টর মারুফা বলেন, ঢাবি শিক্ষার্থীরা থানার সামনে অবস্থান নিয়েছেন, ওসি স্যারসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে রয়েছেন।
গত ১৩ মে রাতে রমনা কালীমন্দিরসংলগ্ন বটগাছের পাশে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে নিহত হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য (২৫)। পুলিশ জানায়, সেদিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে সাম্য তার দুই বন্ধু আশরাফুল আলম রাফি ও মো. আব্দুল্লাহ আল বায়েজিদের সঙ্গে মোটরসাইকেলে করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে ক্যাম্পাসে ফিরছিলেন। পথে অজ্ঞাত ১০–১২ জন ব্যক্তি তাদের মোটরসাইকেল ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে দুর্বৃত্তরা কিলঘুষি ও ইট দিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। পরে এক দুর্বৃত্ত ধারালো অস্ত্র দিয়ে সাম্যর ডান পায়ের রানে উপর্যুপরি আঘাত করে। তিনি মাটিতে পড়ে গেলে হামলাকারীরা হুমকি দিয়ে সেখান থেকে সরে যায়।
সাম্যকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত মো. তামিম হাওলাদার (৩০), সম্রাট মল্লিক (২৮) ও মো. পলাশ সরদার (৩০) নামের তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে শিক্ষার্থীদের দাবি, এখনো প্রকৃত পরিকল্পনাকারীরা ধরা পড়েনি, তাই তাদের আন্দোলন চলবে।
thebgbd.com/NA