ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে আসা বা ব্রেক্সিটের পর সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের লক্ষ্যে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার ইইউর সঙ্গে একটি নতুন চুক্তি স্বাক্ষর করতে প্রস্তুত। ঐতিহাসিক আলোচনার আগে শনিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এ তথ্য জানিয়েছে। যুক্তরাজ্য থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
স্টারমার সোমবার ব্রেক্সিট-পরবর্তী প্রথম ইইউ-যুক্তরাজ্য শীর্ষ সম্মেলনে ইইউ প্রধানদের সঙ্গে সাক্ষাত করবেন। যার লক্ষ্য হচ্ছে পাঁচ বছর আগে তীক্ত ও জটিল গণভোটের পর ব্রিটেন এবং ২৭টি দেশের ব্লকের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলার পদক্ষেপ গ্রহণে মতৈক্যে পৌঁছানো। ডাউনিং স্ট্রিট এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘এই সপ্তাহে, প্রধানমন্ত্রী আরো একটি চুক্তি করবেন। যা এই দেশের জাতীয় স্বার্থে কাজ করবে।
সোমবার লন্ডনের বহুতল ল্যাঙ্কাস্টার হাউসে অনুষ্ঠেয় আলোচনায় স্টারমার ইইউ প্রধান উরসুলা ভন ডের লেইন এবং আন্তোনিও কস্তার পাশাপাশি শীর্ষ ইইউ কূটনীতিক কাজা কালাসকে স্বাগত জানাবেন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘প্রধানমন্ত্রী ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে একটি শক্তিশালী, দূরদর্শী অংশীদারিত্ব কীভাবে শ্রমজীবী মানুষের জন্য কাজ করবে এবং তাদের পকেটে আরো বেশি অর্থের সংস্থান করবে তা তুলে ধরবেন।’
মাছ ধরার অধিকার এবং খাদ্য নিয়ন্ত্রণের মতো দীর্ঘস্থায়ী বিষয়গুলো নিয়ে শেষ মুহূর্তের বিবাদের কারণে আলোচনাটি স্থগিত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। গত জুলাইয়ে নির্বাচিত লেবার প্রধানমন্ত্রী স্টারমার, পূর্ববর্তী রক্ষণশীল সরকারের আলোচনার চেয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আরও গভীর সম্পর্ক চান। স্টারমারের কার্যালয় জানিয়েছে, এই চুক্তি ‘কারও জন্য কাজ করছে না’।
রুশ হুমকির মুখে ইইউ এবং ব্রিটেন উভয়ই নিজেদের অস্ত্র সজ্জিত করার জন্য প্রতিযোগিতা করছে এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অধীনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর ইউরোপকে রক্ষা করতে সাহায্য করবে না বলে আশঙ্কা করছে। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য হল ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার দ্বার উন্মুক্ত করা। এর অর্থ হলো আরও নিয়মিত নিরাপত্তা আলোচনা, ব্রিটেনের ইইউ সামরিক মিশনে যোগদানের কথা বিবেচনা করা এবং ব্লক কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ১৫০ বিলিয়ন ইউরো প্রতিরক্ষা তহবিলে লন্ডনের সম্পূর্ণরূপে অংশগ্রহণের সম্ভাবনা।
সূত্র: এএফপি
এসজেড