জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে সাবেক বরখাস্ত ও অব্যাহতিপ্রাপ্ত সেনা সদস্যদের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে বলেছে, জাতীয় স্বার্থবিরোধী, উসকানিমূলক কিংবা বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার মতো কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ অনুচিত এবং অগ্রহণযোগ্য।
গত রোববার সেনাবাহিনীতে পুনর্বহাল, শাস্তি মওকুফ ও ক্ষতিপূরণসহ বিভিন্ন দাবিতে সাবেক সেনা সদস্যরা বিক্ষোভ করলে পরিস্থিতি নতুন মোড় নেয়। এ সময় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধি দল সেখানে গিয়ে তাদের কথা শোনে এবং প্রচলিত বিধির আওতায় দাবি-দাওয়া যাচাই করে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেয়।
তবে একই দিনে কিছু ঘটনায় শৃঙ্খলার সীমা লঙ্ঘিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে আইএসপিআর। বিবৃতিতে জানানো হয়, সেনাবাহিনীর ঐতিহ্য ও নীতিমূল্যবোধকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে—এমন আচরণ করা হয়েছে, যা কাম্য নয়। প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে জানানো হয়, অভিযোগ সরাসরি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পেশ করাই যুক্তিসঙ্গত ও কার্যকর।
আইএসপিআরের ভাষ্য অনুযায়ী, প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দুটি শান্তিপূর্ণ বৈঠকের পর ফেরার পথে কিছু বহিষ্কৃত সদস্য উত্তেজনা ছড়ানোর অপচেষ্টা করে। তারা গাড়ির গতিপথ রোধ করে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর ইট-পাটকেল ছোড়ে এবং অশোভন স্লোগানে পরিবেশ উত্তপ্ত করে তোলে।
সেনাবাহিনী দিনের পুরো সময় সহনশীলতা ও সহানুভূতির সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। তবে একপর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে হস্তক্ষেপ করতে হয় এবং অশান্তিতে জড়িত কয়েকজনকে ছত্রভঙ্গ করা হয়।
ঘটনাটিকে সেনাবাহিনী গুরুত্বসহকারে পর্যবেক্ষণ করছে এবং সংবেদনশীলতার সঙ্গে এর মূল্যায়ন চলছে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। সংবিধান ও শৃঙ্খলার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে সকলকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানানো হয়।
আইএসপিআর আরও জানায়, চলতি বছরের ১৪ মে পর্যন্ত এমন ৮০২টি আবেদন জমা পড়ে, যার মধ্যে ১০৬টি ইতোমধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে এবং বাকি আবেদনসমূহ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
thebgbd.com/NIT