ঢাকা | বঙ্গাব্দ

দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি ইশরাকের

আন্দোলনের মাঝে আজ বুধবার (২১ মে) ইশরাক নিজেই সরাসরি আন্দোলনকারীদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। এ সময় তিনি সরকারের দুজন উপদেষ্টার পদত্যাগ চান।
  • নিজস্ব প্রতিবেদক | ২১ মে, ২০২৫
দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি ইশরাকের ফাইল ছবি

গত কয়েকদিন ধরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সামনে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের সমর্থকরা। আন্দোলনের মাঝে আজ বুধবার (২১ মে) ইশরাক নিজেই সরাসরি আন্দোলনকারীদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। এ সময় তিনি সরকারের দুজন উপদেষ্টার পদত্যাগ চান। 


আন্দোলনে যোগ দিয়ে ইশরাক হোসেন বলেন, ‘দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পর একটা বানোয়াট ফল ঘোষণা করে। সেটাকে বাতিল চেয়ে আমরা মামলা করেছিলাম। পরে শুনানি শেষে আদালত কর্তৃক নির্ধারিত হয়েছে যে, মামলাটি সঠিক ছিল এবং আমি বিজয়ী প্রার্থী হতে পারি আইন অনুযায়ী। এরপর নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হয়, সেখানে সাত আট জন আইনজীবী রয়েছেন। তারা পুরো মামলাটি পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখেছেন। তাদের বলা হলো, আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত নিতে হবে। আইন মন্ত্রণালয় বললো, তারা স্বাধীন প্রতিষ্ঠান তারা যে সিদ্ধান্ত নেবে আমরা তা মেনে নেবো। এর পর ইলেকশন কমিশন আইন অনুযায়ী গেজেট প্রকাশ করলো। এখন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলাপ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কর্তব্য আমার শপথ সম্পন্ন করানো। তারা শুধুমাত্র শপথের আয়োজন করবে।’ 


তিনি বলেন, ‘কিন্তু একটি নতুন দল, আমি আশাবাদী ছিলাম। কিন্তু আমরা দেখলাম, এই সরকারের মধ্যেই তাদের দলের কয়েকজন প্রতিনিধি রয়ে গেল। আমরা আন্দোলন শুরু করেছিলাম একটা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন হবে। সেখান থেকে আমরা আবার পিছিয়ে গেলাম। আমি নাহিদ ইসলামকে প্রশংসা করবো, তিনি পদত্যাগ করে রাজনীতিতে যুক্ত হয়েছে। কিন্তু বাকি যে দুজন উপদেষ্টা আছেন। আমার সাথে যদি এ রকম আচরণ করা হয়, যখন জাতীয় নির্বাচন হবে, তখন আপনারা আশা রাখতে পারেন, যে একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে?’ 


ইশরাক হোসেন বলেন, ‘হাসিনা যেমন বিচার বিভাগ থেকে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করেছিল, তেমনটি হচ্ছে। আমরা কি আরেকটা স্বৈরাচারীর জন্ম হতে দিতে পারি?  আরেকটা স্বৈরাচীর জন্ম এই বাংলাদেশের মাটিতে আমরা হতে দেবো না ইনশাল্লাহ।  আমরা যেকোনো স্বৈরাচারকে উচিত জবাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছি। যেমনটি হাসিনার আমলে আমরা গুম হয়ে, মামলা খেয়ে, জেল খেটে স্বৈরাচার পতনের পেক্ষাপট তৈরি করেছিলাম।’  


তিনি বলেন, সরকার কীভাবে তাদের নিরপেক্ষতা ফিরে পাবে, সেটা তাদেরই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। এরপর মাহফুজ আলমকে পদত্যাগ করতে হবে।


বিএনপি নেতা বলেন, ‘জনগণের ন্যায্য অধিকার ও দাবি আদায়ের জন্য আমরা রাজপথে অবস্থান করছি। এই ভাইয়েরা রোদে বৃষ্টিতে ভিজে আন্দোলন করছে। এই আন্দোলন কি ইশরাকের মেয়রের জন্য। না। এটা জনগণের ভোটের অধিকারের জন্য। আমিও সর্বাত্মভাবে এই আন্দোলনে যোগ দিলাম এবং আমিও পাশাপাশি এখানে অবস্থান করবো, যতক্ষণ পর্যন্ত দাবি মেনে নেওয়া না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমি এখানে অবস্থান করবো।


thebgbd.com/NIT