ঢাকা | বঙ্গাব্দ

এইডস তহবিলে মাস্কের সহায়তা

দোহা ফোরামে মাস্ক বলেন, ‘কোন কোন খাতে অর্থায়ন নেই? এখনই ঠিক করে দিচ্ছি।’
  • অনলাইন ডেস্ক | ২২ মে, ২০২৫
এইডস তহবিলে মাস্কের সহায়তা ইলন মাস্ক

এইডস প্রতিরোধে তহবিল সংকট ঘিরে ‘ইউএনএইডস’ যে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে, তা কিছুটা উপশম হতে পারে—এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা ইলন মাস্ক। তার মন্তব্যে সন্তোষ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের এইডস সংস্থা।


জেনেভা থেকে এএফপি জানায়, ‘ইউএনএইডস’ আশঙ্কা করছে, যদি যুক্তরাষ্ট্র বিদেশি সহায়তা কমিয়ে দেওয়ার বর্তমান নীতিতে অটল থাকে, ২০২৯ সালের মধ্যে বিশ্বজুড়ে এইডস-সংক্রান্ত অতিরিক্ত ৪২ লাখ মৃত্যু ঘটতে পারে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে সরকারি খরচ কমাতে গিয়ে এই সহায়তা উল্লেখযোগ্য হারে কাটা হয়েছে।


দোহা অর্থনৈতিক ফোরামে মঙ্গলবার এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে ইলন মাস্ক ইঙ্গিত দেন, এই তহবিল সংকট নিয়ে ‘পুনর্বিবেচনা’ হতে পারে। জাতিসংঘের এইডস সংস্থা এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘এইচআইভি প্রতিরোধে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি অর্থায়নের ঘাটতি ঘিরে যে সংকট তৈরি হয়েছে, তা সমাধানে ইলন মাস্কের হস্তক্ষেপের ঘোষণায় আমরা গভীরভাবে উৎসাহিত।’ গত দুই দশকে এইচআইভি/এইডস মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের ‘জরুরি সহায়তা কর্মসূচি’ (পেপফার) বিশ্বজুড়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।


তহবিল কাটছাঁটে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সীমিত ছাড় থাকলেও বহু দেশেই প্রকল্প বাস্তবায়ন থমকে আছে বলে জানিয়েছে ‘ইউএনএইডস’। সংস্থাটি বলেছে, ‘এই ছাড় কেবল গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী নারীদের জন্য এইচআইভি প্রতিরোধে প্রযোজ্য; অন্যান্য ক্ষেত্র বাদ পড়েছে।’ দোহা ফোরামে মাস্ক বলেন, ‘কোন কোন খাতে অর্থায়ন নেই? এখনই ঠিক করে দিচ্ছি।’ সঞ্চালক এইডস ওষুধের অর্থায়ন বন্ধ হয়েছে কি না- জানতে চাইলে মাস্ক বলেন, ‘যদি এটি সত্যও হয়—যদিও সন্দেহ করছি—তবু আমরা সমাধান করব।’


তবে সামগ্রিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশি সহায়তা সংস্থা ‘ইউএসএইড’ বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে তিনি জোরালোভাবে সমর্থন করেন। মাস্ক বলেন, ‘যেগুলো ন্যূনতম উপযোগী বলে বিবেচিত হয়েছে, সেগুলো পররাষ্ট্র দপ্তরের অধীনে স্থানান্তরিত হয়েছে—মুছে ফেলা হয়নি। আমরা দেখেছি, এই সহায়তার বিরাট একটি অংশ জালিয়াতি ও দুর্নীতিতে হারিয়ে যায়, শিশুরা তেমন উপকৃত হয় না।’


সূত্র: এএফপি 


এসজেড