আন্তর্জাতিক চাপ বেড়ে যাওয়ার মধ্যে জাতিসংঘ বুধবার জানিয়েছে, তারা গাজা উপত্যকায় ৮৭টি ত্রাণবাহী ট্রাক ‘প্রেরণ’ করেছে। গাজা সিটি থেকে এএফপি জানায়, চলতি বছরের মার্চের শুরু থেকে গাজায় এই প্রথমবারের মতো ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু হলো।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্তেফান দুজারিক জানান, ইসরায়েল তিন দিন আগে সীমিত পরিসরে ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর জাতিসংঘ ‘কেরেম শালোম সীমান্ত পারাপার পথ থেকে ৮৭টি ট্রাকের পণ্য সংগ্রহ করে গাজায় প্রেরণ করা হয়েছে।
গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত সরকারপন্থী মিডিয়া অফিস জানায়, বুধবার ৮৭টি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করেছে, যা আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে ‘জরুরি মানবিক প্রয়োজন’ পূরণের উদ্দেশ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ বিচ্ছিন্নতার ফলে গাজার জনগণ মৌলিক প্রয়োজনীয় জিনিসের জন্য হাহাকার করছে। অবরোধের ফলে খাদ্য ও ওষুধের মারাত্মক সংকট দেখা দিয়েছে।
দিনে একবারই খাবার জোটে
গাজা শহরে আশ্রয় নেওয়া ৫৩ বছর বয়সী উম্মে তালাল আল-মাসরি বলেন, পরিস্থিতি সহ্য করার মতো নয়। ‘কেউই আমাদের কাছে কিছু পৌঁছাচ্ছে না। সবাই অপেক্ষায় আছে ত্রাণের, কিন্তু আমরা এখনও কিছুই পাইনি। আমরা দিনে কেবল একবারই খাবার জোটাতে পারি।’ মানবিক সংস্থাগুলো বলছে, গাজায় যে পরিমাণ ত্রাণ প্রবেশ করছে তা এই সংকট নিরসনের জন্য যথেষ্ট নয়।
মার্কিন-সমর্থিত বেসরকারি সংস্থা ‘গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন’ (জিএইচএফ) বলেছে, তারা ঠিকাদারদের মাধ্যমে ‘কয়েক দিনের মধ্যেই’ ত্রাণ সরবরাহ শুরু করবে। জাতিসংঘ ও ঐতিহ্যবাহী সংস্থাগুলো এই ফাউন্ডেশনের সঙ্গে কাজ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। অনেকে ফাউন্ডেশনটিকে ইসরায়েলের সঙ্গে কাজ করার অভিযোগও তুলেছে।
সূত্র: এএফপি
এসজেড