ইসলামী ব্যাংকিংয়ে লেনদেন সম্পূর্ণরূপে শরিয়ার বিধান অনুসারে হওয়া বাধ্যতামূলক। এতে মুনাফার হিসাব থেকে শুরু করে চুক্তির শর্ত পর্যন্ত প্রতিটি দিককে শরিয়ার আলোকে বিচার করতে হয়। এজন্য নিম্নলিখিত সতর্কতাগুলো বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ—
প্রথমত, রিবাহ (সুদের নিষেধাজ্ঞা) কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। কোনো ধরনের সুদ বা অতিরিক্ত অর্থ নেওয়া বা দেওয়া ইসলামিক ব্যাংকিংয়ে গ্রহণযোগ্য নয়।
দ্বিতীয়ত, লেনদেনে মুদারাবা, মুশারকা, ইজারা ইত্যাদি ইসলামি চুক্তি স্পষ্ট ও সুস্পষ্ট থাকতে হবে। লেনদেনের প্রতিটি শর্ত সঠিকভাবে লিখিত ও সম্মতিপূর্ণ হতে হবে যাতে কোনো দ্বন্দ্ব না হয়।
তৃতীয়ত, জুয়ার বা গ্যাম্বলিংয়ের উপাদান থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত থাকতে হবে। যেকোনো ধরনের অস্বচ্ছতা, অনিশ্চয়তা বা সত্ত্বের মধ্যে ঝুঁকি (ঘরর) গ্রহণ ইসলামিক ব্যাংকিংয়ে নিষিদ্ধ।
চতুর্থত, লেনদেনে হালাল পণ্য ও সেবার ব্যবসা নিশ্চিত করতে হবে। হারাম বা নিষিদ্ধ কোনো পণ্য বা কার্যক্রমের সাথে যুক্ত হওয়া চলবে না।
পঞ্চমত, ব্যাংকিং কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতা বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি, যাতে গ্রাহক ও ব্যাংকের মধ্যে বিশ্বাস ও পারস্পরিক সম্মান টিকিয়ে রাখা যায়।
অবশেষে, ইসলামী ব্যাংকিং লেনদেনে নিয়মিত শরিয়া পরামর্শ কমিটির তদারকি ও পর্যালোচনা থাকা প্রয়োজন, যা লেনদেনের প্রতিটি দিক শরিয়ার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ আছে কিনা তা নিশ্চিত করে।
এই সতর্কতাগুলো মেনে চললে ব্যাংকিং লেনদেনে শরিয়া পূর্ণতা পাবে এবং ইসলামী অর্থনীতি সুষ্ঠুভাবে বিকাশ লাভ করবে।
thebgbd.com/NIT