ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড শরীরের জন্য অত্যন্ত জরুরি একটি উপাদান। এটি হৃদযন্ত্র, মস্তিষ্ক, ত্বক ও চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে আমাদের খাদ্যাভ্যাসে অনেক সময় এই পুষ্টিগুণের ঘাটতি দেখা যায়, যা দীর্ঘমেয়াদে শরীরের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শরীরে ওমেগা থ্রি-এর ঘাটতি হলে কিছু লক্ষণ দেখা দিতে পারে, যা অবহেলা করলে হতে পারে জটিল রোগ।
১. ত্বক শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে যাওয়া: ওমেগা থ্রি ত্বকের আর্দ্রতা ও নমনীয়তা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এর ঘাটতিতে ত্বক হয়ে পড়ে শুষ্ক, খসখসে ও সহজে চুলকায়।
২. ঘন ঘন মন খারাপ বা ডিপ্রেশন: মস্তিষ্কের কার্যকারিতা ঠিক রাখতে ওমেগা থ্রি প্রয়োজন। এর ঘাটতিতে মানসিক অস্থিরতা, মন খারাপ বা হতাশা দেখা দিতে পারে।
৩. চুল ভেঙে যাওয়া ও রুক্ষ হয়ে যাওয়া:ওমেগা থ্রি-এর অভাবে চুলের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা ও স্থিতিস্থাপকতা কমে যায়, ফলে চুল হয়ে পড়ে দুর্বল ও ভঙ্গুর।
৪. চোখ শুকিয়ে যাওয়া ও ঝাপসা দেখা: এই ফ্যাটি অ্যাসিড চোখের স্বাভাবিক আর্দ্রতা বজায় রাখে। এর ঘাটতিতে চোখ শুকিয়ে যায় বা দীর্ঘক্ষণ পরিশ্রমে ঝাপসা দেখার সমস্যা হতে পারে।
৫. জয়েন্টে ব্যথা বা অস্বস্তি: ওমেগা থ্রি প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি হিসেবে কাজ করে। ঘাটতির কারণে শরীরের জয়েন্টে ব্যথা বা ফোলাভাব দেখা দিতে পারে।
৬. সহজে রোগে আক্রান্ত হওয়া: ওমেগা থ্রি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এর অভাবে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে এবং ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে সহজে আক্রান্ত হয়।
৭. মনোযোগে ঘাটতি ও স্মৃতিভ্রংশ: বিশেষ করে বয়স্কদের ক্ষেত্রে ওমেগা থ্রি-এর ঘাটতি স্মৃতিভ্রংশ বা অ্যালঝেইমারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
ওমেগা থ্রি পাওয়া যায় মাছ (বিশেষ করে সামুদ্রিক মাছ যেমন স্যামন, ম্যাকরেল, সার্ডিন), চিয়া বীজ, আখরোট, ফ্ল্যাক্সসিড ও ওমেগা থ্রি সাপ্লিমেন্ট থেকে। এসব খাদ্য নিয়মিত গ্রহণ করলেই ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব।
শরীরের সংকেতগুলোকে অবহেলা না করে সচেতন হলেই ওমেগা থ্রি-এর ঘাটতি প্রতিরোধ করা সম্ভব।
thebgbd.com/NIT
