ইসলামের পবিত্র গ্রন্থ কোরআনে ‘পরিবেশনীতা’ বা ‘খিদমত’ শব্দটির গুরুত্ব ব্যাপকভাবে আলোকিত হয়েছে। পরিবেশনীতা মূলত অন্যের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করা, বিশেষ করে অভিভাবক, অভিজাত, বৃদ্ধ, অসুস্থ ও দরিদ্রদের প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শন করা।
কোরআনে বিভিন্ন আয়াতে পরিবেশনীতার প্রশংসা ও আদর্শ হিসেবে মানুষের মধ্যে এই গুণাবলীর বিকাশের আহ্বান জানানো হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন:
“অবশ্যই, আল্লাহ যাদেরকে নিজের রহমত দিয়ে সন্তুষ্ট করেছেন, তারা হয় দরিদ্রদের সাহায্য করে, অথবা দাসদের মুক্তি দেয়, অথবা এমন কিছু কাজে নিয়োজিত থাকে যা প্রশংসনীয়।” (সূরা-বনী ইসরাঈল: 26)
পরিবেশনীতার মাধ্যমে সমাজে সৌহার্দ্য ও মানবিকতার বিকাশ ঘটে। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত পরিবেশনীতার মূল দিকগুলো হলো:
অন্যের জন্য ত্যাগ ও সহায়তা: পরিবার ও প্রতিবেশীদের প্রতি সেবা।
অসহায় ও অসুস্থদের যত্ন: আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য তাদের পাশে থাকা।
শিক্ষা ও দীক্ষা প্রদান: মানুষের কল্যাণে কাজ করা।
আল্লাহর নৈকট্য লাভের মাধ্যম: পরিবেশনীতা হলো নেক আমলের অন্যতম প্রধান পথ।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, পরিবেশনীতার মাধ্যমে মানুষ জীবনে শৃঙ্খলা ও শান্তি অর্জন করে এবং এটি আল্লাহর রহমত লাভের অন্যতম সোপান।
সুতরাং, কোরআনে পরিবেশনীতার গুরুত্ব অপরিসীম এবং এটি একজন মুসলমানের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হওয়া উচিত। পরিবেশনীতার মাধ্যমে ব্যক্তি ও সমাজ দুটোই উন্নত হয়, যা ইসলামের মৌলিক শিক্ষার প্রতিফলন।
thebgbd.com/NIT