ইসলামি ব্যাংকিং ও আর্থিক লেনদেনে শরীয়া অনুসরণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শরীয়া মানা না হলে লেনদেন হারাম হিসেবে গণ্য হতে পারে, যা ব্যবসায়ী ও গ্রাহকের জন্য ক্ষতিকর। তাই ব্যাংকিং লেনদেনে ইসলামের মৌলিক বিধান মেনে চলতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।
শরীয়া পরিপালনে জরুরি সতর্কতাসমূহ:
১. রিবা (সুদের) সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা:
ইসলামে সুদ গ্রহণ বা প্রদান কঠোরভাবে হারাম। তাই কোনো ধরনের সুদে লেনদেন থেকে বিরত থাকতে হবে। ইসলামী ব্যাংকিংয়ে মুরাবাহা, মোদারাবা ইত্যাদি হালাল মডেল অনুসরণ করা হয়।
২. অবিশুদ্ধ বা অবৈধ পণ্যের লেনদেন থেকে বিরত থাকা:
শরীয়া অনুযায়ী নিষিদ্ধ পণ্য যেমন মদ, গোরু বা ভাঙা পশু, জুয়া ইত্যাদির সাথে লেনদেন করা যাবে না।
৩. মুয়ানাসিব চুক্তি ও স্বচ্ছতা:
লেনদেনের সকল শর্ত পরিষ্কার, সুনির্দিষ্ট ও পরস্পরের সম্মতিতে হতে হবে। প্রতারণা, ছলকপট, বা অস্পষ্টতা গ্রহণযোগ্য নয়।
৪. গ্যারান্টি ও নিরাপত্তা বিধান:
লোন বা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ঝুঁকি ভাগাভাগি শরীয়া মতে থাকা প্রয়োজন। সম্পূর্ণ ঝুঁকি গ্রহণ বা বিতরণ হয়রানি হিসেবে গণ্য হয়।
৫. হারাম অর্থ থেকে দূরত্ব বজায় রাখা:
যেকোনো অবৈধ অর্থ যেমন ঘুষ, জুয়া, অবৈধ বাণিজ্য থেকে অর্জিত টাকা লেনদেনে ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে।
৬. সদকাহ ও জাকাতের বিষয় বিবেচনা:
ব্যাংকিং লেনদেন থেকে প্রাপ্ত লাভ থেকে অবশ্যই জাকাত প্রদান করতে হবে।
৭. শরীয়া পরামর্শ বোর্ডের অনুমোদন:
ইসলামী ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানে লেনদেন শুরু করার আগে শরীয়া বোর্ডের অনুমোদন নিতে হয়, যাতে সম্পূর্ণ লেনদেন শরীয়া সম্মত হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইসলামী ব্যাংকিং ও আর্থিক লেনদেনে এসব সতর্কতা মেনে চললে ইসলামী অর্থনীতির বিকাশ সম্ভব এবং গ্রাহকের আস্থা বৃদ্ধি পায়।
সুতরাং, ব্যাংকিং লেনদেনে শরীয়া পূর্ণরূপে পালন করার জন্য এসব দিক লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন, যা ইসলামের ন্যায় ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার ভিত্তি গড়ে তোলে।
thebgbd.com/NIT