ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হজ। নবী (সা.) এবং পূর্ববর্তী নবীগণ যেভাবে হজ করতেন তা থেকে আমরা আজকের মুসলমানরা অনুপ্রেরণা নিতে পারি। নবীজী (সা.) তাঁর জীবনে হজ পালন করতেন গভীর আধ্যাত্মিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে। তিনি Ihram পরিধান করে পবিত্রতা রক্ষা করতেন, কঠোর আত্মসমর্পণের মাধ্যমে আল্লাহর প্রীতির জন্য নিরলস ইবাদত করতেন।
হজের প্রতিটি রুক্ন যেমন ওমরাহ (উমরাহ), সাফা-মারওয়ার সাঈ, মিনায় অবস্থান, আরাফাতের ময়দানে দাঁড়ানো এবং মক্কার কাবা তাওয়াফ করা—সবই ছিল গভীর মনোযোগ ও সতর্কতার সঙ্গে। নবী (সা.) বলেন, “সৎভাবে ও বিশ্বাসের সঙ্গে হজ পালনকারী ব্যক্তি যেন আগের পাপ থেকে মুক্ত হয়।” (সহিহ মুসলিম)।
নবীদের হজ কেবল একটি ধর্মীয় রীতিনীতি ছিল না, বরং এটি ছিল একতা, আত্মত্যাগ এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নিবেদন। কোরআনে আল্লাহ বলেন, “হজ তোমাদের ওপর ফরজ হয়েছে, তোমাদের জন্য এতে কোনো আপত্তি নেই যদি তোমরা তীর্থ করতে যাও।” (সূরা আল-হজ: ২৭)।
তাদের ইবাদত থেকে বোঝা যায়, হজ কেবল পারফরমেন্স নয়, আত্মার পরিশুদ্ধি এবং জীবন পরিবর্তনের উৎস। নবীদের এই দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের শেখায় যে, হজ হচ্ছে অন্তরের হাল পরিবর্তনের মাধ্যম।
thebgbd.com/NIT
