ঢাকা | বঙ্গাব্দ

যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে হামাসের ‘সাড়া’

আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারীদের কাছে হামাস যে লিখিত জবাব দিয়েছে, তাতে সময়সীমা ও বাস্তবায়নের বিস্তারিত পরিকল্পনা উল্লেখ আছে।
  • অনলাইন ডেস্ক | ০১ জুন, ২০২৫
যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে হামাসের ‘সাড়া’ বিধ্বস্ত গাজা।

যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত সর্বশেষ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ‘ইতিবাচক অনুমোদন’ দিয়েছে হামাস। ফিলিস্তিনি এই প্রতিরোধ আন্দোলনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা শনিবার সিনহুয়াকে জানান, এটি একটি পূর্ণাঙ্গ চুক্তির অংশ, যার বাস্তবায়নের জন্য ইসরায়েলকে সম্পূর্ণভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকতে হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা জানান, আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারীদের কাছে হামাস যে লিখিত জবাব দিয়েছে, তাতে সময়সীমা ও বাস্তবায়নের বিস্তারিত পরিকল্পনা উল্লেখ আছে।


তিনি বলেন, ‘চুক্তির সব শর্ত—বিশেষ করে পুনর্গঠনের অঙ্গীকার—ইসরায়েল যাতে মেনে চলে, সেজন্য এখন যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের দায়িত্ব হলো তাদের ওপর চাপ প্রয়োগ করা। যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হওয়ার সুযোগ দেওয়া উচিত নয়।’ উল্লেখিত প্রস্তাবে তিন ধাপে ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির পরিকল্পনা রাখা হয়েছে, যাদের অনেকে ৬০ দিনের বেশি সময় ধরে গাজায় আটক আছেন। এসব ধাপ বাস্তবায়নের সময় আন্তর্জাতিক তদারকি থাকবে বলে সূত্র জানায়।


হামাস দাবি জানিয়েছে, সব সীমান্ত পারাপার পথ যেন নিষেধাজ্ঞামুক্তভাবে আবার খুলে দেওয়া হয় এবং ভবিষ্যতে সংঘর্ষ পুনরায় শুরু না হয়, তা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক গ্যারান্টি দেওয়া হয়। পাশাপাশি, বিদ্যমান ব্যবস্থার মাধ্যমে মানবিক সহায়তা বিতরণ চালু রাখারও আহ্বান জানানো হয়েছে।


চুক্তির আওতায় ইসরায়েলি বাহিনীকে ২ মার্চের আগের অবস্থানে ফিরে যেতে হবে এবং এরপর পাঁচ বছরের জন্য যুদ্ধবিরতি বলবৎ থাকবে। বাস্তবায়নের পর গাজার প্রশাসনিক দায়িত্ব একটি বেসামরিক প্রযুক্তিনির্ভর কমিটির কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান ওই কর্মকর্তা। শনিবার আরেক বিবৃতিতে হামাস নিশ্চিত করে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের পেশ করা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে তাদের আনুষ্ঠানিক জবাব দিয়েছে।


হামাস জানায়, প্রস্তাব অনুযায়ী ১০ জন জীবিত ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে এবং ১৮ জনের মৃতদেহ ফিরিয়ে দেওয়া হবে। এর বিনিময়ে নির্দিষ্ট সংখ্যক ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিতে হবে। এই চুক্তির লক্ষ্য হলো একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা, গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর পূর্ণ প্রত্যাহার এবং মানবিক সহায়তার অব্যাহত প্রবাহ নিশ্চিত করা।


সূত্র: সিনহুয়া


এসজেড