বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মাদ তাহের বলেছেন, জুলাই মাসের মধ্যেই সব সংস্কার সম্পন্ন করে একটি সমন্বিত ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণা করতে হবে, যাতে সব দল নীতিগতভাবে একমত হয় এবং স্বাক্ষর করে।
সোমবার (২ জুন) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. তাহের বলেন, “সংস্কারের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা বলেছি, জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যেই সংস্কার শেষ করতে হবে। বেশিরভাগ বিষয়ে দলগুলো একমত হয়েছে, কিছু বিষয়ে সামান্য মতপার্থক্য রয়েছে। কাল থেকে সব দলকে একত্র করে আলোচনার মাধ্যমে সেগুলোও সমাধানের চেষ্টা করা হবে।”
তিনি বলেন, “যেসব মৌলিক বিষয়ে এখনো একমত হওয়া যায়নি, তাও আলোচনা করে ঠিক করা সম্ভব। আর একেবারে একমত না হলে সে ক্ষেত্রেও করণীয় ঠিক করতে হবে।”
নির্বাচনের সময়সীমা প্রসঙ্গে ডা. তাহের বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন নিয়ে বলেছেন ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে। আমরা বলেছি, মে ও জুন মাস নির্বাচন আয়োজনের জন্য উপযুক্ত নয়। সে অনুযায়ী জানুয়ারি থেকে এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে।”
তিনি যোগ করেন, “ডিসেম্বর থেকে এপ্রিলের মধ্যে একটি তারিখ ঘোষণা করা হলে জনমনে যে শঙ্কা ও অস্থিরতা রয়েছে, তা কেটে যাবে। রাজনৈতিক দলগুলোর প্রস্তুতি ও প্রচারণার ক্ষেত্রেও এটি ইতিবাচক হবে।”
তবে তিনি বলেন, “কোনও দল যেন নির্দিষ্ট তারিখে নির্বাচন চাইতে গিয়ে অযথা চাপ সৃষ্টি না করে।”
ডা. তাহের বলেন, “বাংলাদেশের বাইরে প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ প্রবাসী রয়েছেন, যারা দেশের অর্থনীতিকে রেমিট্যান্স দিয়ে সচল রেখেছেন। তাদের ভোটে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য এখনই প্রস্তুতি নেওয়া দরকার। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সে উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।”
তিনি আরও বলেন, “একটি উৎসবমুখর, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাইলে আগে থেকেই স্বচ্ছতা ও সমতা নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য প্রশাসনিক কাঠামো ঠিক করতে হবে, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে।”
ডিসেম্বর মাসে নির্বাচন হলে জামায়াতে ইসলামী আপত্তি করবে কিনা—এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. তাহের বলেন, “যদি সংস্কার, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড এবং প্রবাসীদের ভোট অংশগ্রহণের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা যায়, তাহলে ডিসেম্বর থেকে এপ্রিলের মধ্যে যেকোনো সময় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে আমাদের আপত্তি নেই।”
thebgbd.com/NA