অন্তরঙ্গ ভিডিও ভাইরাল, অবশেষে মুখ খুললেন সেই ডিসি

শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন ও এক নারীর অন্তরঙ্গ ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন ডিসি নিজেই।

ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার সকালে, প্রবাসী সাংবাদিক জাওয়াদ নির্ঝর তার ব্যক্তিগত ফেসবুক ও টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্টে এক পুরুষ ও এক নারীর আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও পোস্ট করেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভিডিওতে থাকা নারী টাঙ্গাইল সদরের বাসিন্দা সেলিনা ইসলাম লিজা। তিনি মিরপুরে স্বামী মাজহারুল ইসলাম সংগ্রামের সঙ্গে বসবাস করতেন। জানা যায়, লিজার স্বামীর বড় বোনের স্বামী হচ্ছেন ডিসি আশরাফ উদ্দিন।

পারিবারিক সম্পর্কের সূত্র ধরে দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয় এবং পরবর্তীতে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই নারী দাবি করেছেন, ডিসি তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সংসার ভেঙেছেন, এখন তাকে বিয়ে না করে উল্টো প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন।

অন্যদিকে ডিসি আশরাফ উদ্দিন বলেছেন, তিনি ব্ল্যাকমেইলের শিকার। তার ভাষ্য অনুযায়ী, লিজা সম্পর্কের সুযোগ নিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করছিলেন। একপর্যায়ে মাসিকভাবে টাকা দিতে বাধ্য হন। পরে যখন তিনি পাঁচ কোটি টাকার এককালীন দাবিতে রাজি হননি, তখনই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হয়।

এই বিষয়ে এক আইনজীবী, যিনি মধ্যস্থতা করছিলেন, জানান—ওই নারী শুরুতে বিয়ের দাবি জানালেও পরে পাঁচ কোটি টাকা বা মাসে এক লাখ টাকার হাতখরচ দাবি করেন। দাবি না মানায় ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেছেন ডিসি।

আইনজীবী আরও জানান, ব্যক্তিগত ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া ফৌজদারি অপরাধ এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের ৮ ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য।

জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন ২০২৪ সালের ৩ নভেম্বর শরীয়তপুরে জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগ দেন। এর আগে তিনি নিউরো ডেভেলপমেন্ট ও অটিজম ট্রাস্টের পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি ২৭তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা।

এদিকে এ ঘটনায় জেলা প্রশাসক ছুটি নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আসলাম হোসাইন। তিনি বলেন, “স্যার কর্মস্থলে নেই। শুনেছি, তিনি ছুটির দরখাস্ত দিয়েছেন।”

thebgbd.com/NA