ঢাকা | বঙ্গাব্দ

প্রতিশোধের চক্র শুরু হতে পারে

রোববার রাশিয়া, চীন ও পাকিস্তান নিরাপত্তা পরিষদের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে একটি খসড়া প্রস্তাব পেশ করেছে।
  • অনলাইন ডেস্ক | ২৩ জুন, ২০২৫
প্রতিশোধের চক্র শুরু হতে পারে আন্তোনিও গুতেরেস।

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন হামলার পর ‘আরেকটি ধ্বংসযজ্ঞ ও প্রতিশোধের চক্র’ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি বলেন, এটি মধ্যপ্রাচ্যের জন্য একটি ‘খুবই বিপজ্জনক মোড়’। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকে গুতেরেস বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যে যেকোনও সামরিক উত্তেজনার তীব্র নিন্দা জানাই। এই অঞ্চলের মানুষ আরেকটি ধ্বংসযজ্ঞ সহ্য করতে পারবে না। এখন আমরা প্রতিশোধের পালা চালিয়ে পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার ঝুঁকিতে আছি।’ জাতিসংঘ থেকে এএফপি এই খবর জানায়। 


আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ) প্রধান রাফায়েল গ্রোসি পরিস্থিতি আরও বড় হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে সংযমের আহ্বান জানিয়েছেন। গ্রোসি আরও বলেন, ‘আমাদের সামনে সংলাপ ও কূটনীতিতে ফিরে আসার একটা সুযোগ রয়েছে। যদি তা হারিয়ে যায়, তবে সহিংসতা ও ধ্বংসযজ্ঞ ভয়াবহ মাত্রায় পৌঁছতে পারে। এছাড়া বিশ্বব্যাপী পরমাণু বিস্তার রোধের ব্যবস্থা ভেঙে পড়ারও আশঙ্কা রয়েছে।’


ভিডিও কনফারেন্সে নিরাপত্তা পরিষদে কথা বলার সময় তিনি বলেন, ‘ইরানের গুরুত্বপূর্ণ ফোর্দো পারমাণবিক স্থাপনায় চোখে পড়ার মতো গর্ত দেখা গেছে। এর থেকে বোঝা যায় যে যুক্তরাষ্ট্র মাটির গভীরে প্রবেশ করতে পারে এমন বোমা ব্যবহার করেছে।’ তবে গ্রোসি জানান, ফোর্দোর নিচে কতটা ক্ষতি হয়েছে, সেটা এখনো কেউ যাচাই করতে পারেনি। তিনি আরও বলেন, ‘পারমাণবিক স্থাপনায় সশস্ত্র হামলা কখনোই হওয়া উচিত নয়। এতে তেজস্ক্রিয় পদার্থ ছড়িয়ে পড়তে পারে, যার মারাত্মক পরিণতি হতে পারে আক্রান্ত দেশের ভেতরে এবং বাইরেও।’


রোববার রাশিয়া, চীন ও পাকিস্তান নিরাপত্তা পরিষদের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে একটি খসড়া প্রস্তাব পেশ করেছে। এতে ইরানে ‘তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি’ দাবি করা হয়েছে এবং ‘শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার তীব্র নিন্দা’ জানানো হয়েছে। তবে নিরাপত্তা পরিষদ ব্যাপকভাবে বিভক্ত। ফ্রান্স ও ব্রিটেনসহ কিছু দেশ ইরানকে সংযম দেখানোর আহ্বান জানিয়েছে। 


অপর দিকে, জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরাইলের রাষ্ট্রদূত ড্যানি ড্যানন প্রস্তাবিত খসড়াটি প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নিন্দা নয়, বরং তাদের কৃতজ্ঞতা জানানো উচিত, কারণ তারা পৃথিবীকে আরও নিরাপদ করেছে।’


জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত আমির সাঈদ ইরাভানি যুক্তরাষ্ট্রকে ‘অবৈধ শক্তি প্রয়োগের’ জন্য কঠোর সমালোচনা করেছেন।তিনি আরও বলেন, ‘ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত রাখার জন্য, বানানো ও হাস্যকর কারণ দেখিয়ে ওয়াশিংটন আমার দেশের বিরুদ্ধে একটি যুদ্ধ শুরু করেছে।’


সূত্র: এএফপি


এসজেড