সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের একটি গির্জায় আত্মঘাতী বোমা হামলায় ২২ জন নিহত হওয়ার পর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান সোমবার বলেছেন, উগ্রপন্থীদের মাধ্যমে সিরিয়াকে আবারও বিশৃঙ্খলা ও অস্থিতিশীলতার দিকে ঠেলে দিতে দেওয়া হবে না। ইস্তাম্বুল থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
এদিকে দামেস্কের গির্জায় আত্মঘাতী হামলাকে ‘ঘৃণ্য ও কাপুরুষোচিত’ আখ্যায়িত করে নিন্দা জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। একইসঙ্গে, জাতিগত ও ধর্মীয় সহিংসতা মোকাবিলায় সিরিয়ার পাশে থাকার অঙ্গীকারও পুনর্ব্যক্ত করেছে ইইউ।
এরদোগান বলেন, আমরা কখনোই আমাদের প্রতিবেশী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সিরিয়াকে ‘প্রক্সি সন্ত্রাসী সংগঠনের’ মাধ্যমে নতুন করে অস্থিতিশীল পরিবেশের দিকে ফিরিয়ে নিতে দেব না। তিনি আরও বলেন, তুরস্ক সিরিয়ার নতুন সরকারের সন্ত্রাস বিরোধী লড়াইয়ে সমর্থন অব্যাহত রাখবে। তবে তিনি ‘প্রক্সি সন্ত্রাসী সংগঠন’ বলতে কোন গোষ্ঠীকে বোঝাতে চাচ্ছেন, সে বিষয়টি স্পষ্ট করেননি। বাশার আল-আসাদের পতনের পর সিরিয়ায় নতুন সরকারের শাসনামলে এটিই প্রথম আত্মঘাতী হামলার নজির।
ব্রাসেলস থেকে এএফপি জানায়, সোমবার ইইউ’র পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক মুখপাত্র আনোয়ার আল আনোনি এক বিবৃতিতে বলেন, খ্রিস্টানদের বিরুদ্ধে এই ঘৃণ্য ও কাপুরুষোচিত হামলা আসলে পুরো সিরিয়ার জনগণের বিরুদ্ধে একটি আঘাত। তিনি বলেন, এই হামলা সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় প্রচেষ্টা আরও জোরদার করার এবং দায়েশ (আইএসের বিকল্প নাম) ও অন্যান্য সন্ত্রাসী সংগঠনের স্থায়ী পরাজয় নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তাকে স্মরণ করিয়ে দেয়।
এ হামলার জন্য ইসলামিক স্টেট (আইএস) গোষ্ঠীকে দায়ী করেছে দামেস্কের সরকার। এই হামলাকে ‘জাতীয় সহাবস্থানে বিঘ্ন সৃষ্টি ও দেশকে অস্থিতিশীল করার প্রয়াস’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তুরস্ক আসাদ বিরোধী এইচটিএস বিদ্রোহীদের অন্যতম প্রধান সমর্থক ছিল। দেশটি বর্তমানে আহমেদ আল-শারার নেতৃত্বে পরিচালিত সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পাশে রয়েছে। তারা সিরিয়ায় আইএস ও অন্যান্য জঙ্গি হুমকি মোকাবিলায় বারবার সামরিক ও কৌশলগত সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে।
সূত্র: এএফপি
এসজেড