সুদানের ভয়াবহ গৃহযুদ্ধে গণহত্যার ঝুঁকি এখনও ‘খুবই বেশি’ রয়ে গেছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। দেশটিতে আধাসামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) কর্তৃক জাতিগত হামলার ঘটনাবলি অব্যাহত থাকার প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘ এ কথা বলেছে।
২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সুদান ভয়াবহ এক ক্ষমতার দ্বন্দ্বে ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়েছে। সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান এবং আরএসএফ কমান্ডার মোহাম্মদ হামদান দাগলোর মধ্যে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। এই লড়াইয়ে এখন পর্যন্ত দশ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে এবং ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এদের মধ্যে ৪০ লাখের বেশি মানুষ দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। জাতিসংঘ একে বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ মানবিক সংকট বলে আখ্যা দিয়েছে।
জেনেভা থেকে এএফপি জানায়, জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের গণহত্যা প্রতিরোধ বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত উপদেষ্টা ভার্জিনিয়া গাম্বা সোমবার জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে বলেন, ‘উভয় পক্ষই গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে অভিযুক্ত।’ তিনি বলেন, ‘আমার দায়িত্বের আওতায় বিশেষ উদ্বেগের বিষয় হলো- দারফুর ও কোরদোফান অঞ্চলে নির্দিষ্ট জাতিগোষ্ঠীর ওপর চলমান পরিকল্পিত হামলা।’
গাম্বা জানান, আরএসএফ ও তাদের মিত্র আরব মিলিশিয়ারা এখনও জাগাওয়া, মাসালিত ও ফুর জনগোষ্ঠীর ওপর জাতিগত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ‘সুদানে গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের ঝুঁকি ‘খুবই বেশি’ রয়ে গেছে।’
গাম্বার এই বক্তব্য এমন এক সময় এলো, যখন গত মাসে জাতিসংঘের শীর্ষ আদালত আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) একটি মামলা খারিজ করে দেয়। ওই মামলায় সুদান অভিযোগ করেছিল, সংযুক্ত আরব আমিরাত যুদ্ধরত আরএসএফকে সহায়তা করে গণহত্যায় সহযোগিতা করেছে। তবে আইসিজে জানায়, মামলার বিষয়ে তাদের ‘সুস্পষ্টভাবে এখতিয়ার নেই’, ফলে তারা মামলাটি গ্রহণ করতে পারে না।
সূত্র: এএফপি
এসজেড