ঢাকা | বঙ্গাব্দ

সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

চলতি বছরের হজ ব্যবস্থাপনা সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ায় ধর্ম মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। একই সঙ্গে তিনি আগামী বছরের হজ ব্যবস্থাপনা যাতে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়, সে লক্ষ্যে এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরুর নির্দেশনা দিয়েছেন।
  • নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৬ জুন, ২০২৫
সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন ছবি : সংগৃহীত

চলতি বছরের হজ ব্যবস্থাপনা সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ায় ধর্ম মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। একই সঙ্গে তিনি আগামী বছরের হজ ব্যবস্থাপনা যাতে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়, সে লক্ষ্যে এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরুর নির্দেশনা দিয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ধর্ম মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা এই নির্দেশনা দেন। বৈঠকে তিনি বলেন, “এ বছর ছোটখাটো যেসব ত্রুটি ধরা পড়েছে সেগুলো চিহ্নিত করে ভবিষ্যতে সেগুলো যেন না হয়, তার বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।”

প্রধান উপদেষ্টা জানান, “এ বছর হজ ব্যবস্থাপনা নিয়ে কোন অভিযোগ আসেনি। সবাই প্রশংসা করেছে। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা পরিশ্রম করেছেন, এজন্য সবাইকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।”

ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন বৈঠকে জানান, আগামী বছরের হজ ব্যবস্থাপনার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়েছে এবং ১০ জুলাই বাংলাদেশিদের জন্য হজ কোটা ঘোষণা করা হবে।

নিবন্ধিত সকল হজযাত্রী হজ পালন করতে পারার যে দৃষ্টান্ত এ বছর সৃষ্টি হয়েছে তা যেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী নীতিতে পরিণত হয়, সে বিষয়ে আন্তরিক হওয়ার নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, “হজযাত্রী ও হজ ব্যবস্থাপনার সাথে সংশ্লিষ্টদের সবার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। সবাই যেন নির্বিঘ্নে হজ পালন করতে পারেন, সেজন্য প্রশিক্ষণ খুবই জরুরি।”

বৈঠকে ধর্ম সচিব একেএম আফতাব হোসেন প্রামাণিক জানান, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে ও সৌদি সরকারের নির্দেশনার আলোকে হজ ২০২৬-এর জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। সফল ও সুশৃঙ্খল হজ ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

তিনি জানান, হজযাত্রীদের মেডিক্যাল ফিটনেস সার্টিফিকেট গ্রহণের মাধ্যমে নিবন্ধন নিশ্চিত করা হবে। এই সার্টিফিকেট জেলার সিভিল সার্জন অথবা ডেডিকেটেড সরকারি হাসপাতালের পরিচালক কর্তৃক প্রদত্ত হতে হবে।

চলতি বছর ৮৭,১০০ জন বাংলাদেশি হজযাত্রী পবিত্র হজ পালনের সুযোগ পেয়েছেন বলে জানানো হয়। ‘লাব্বাইক’ মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে হজযাত্রীরা সহজেই প্রয়োজনীয় তথ্য পেয়েছেন এবং এতে ৩০,২৩৪ জন রেজিস্ট্রেশন করেছেন।

হজ পালনকালে এ বছর ৩৮ জন ব্যক্তির স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে এবং বর্তমানে সৌদি আরবের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২৪ জন। ২৫ জুন পর্যন্ত দেশে ফিরেছেন ৫১,৬১৫ জন হাজি। এ পর্যন্ত ৮০৬টি লাগেজ হারানোর তথ্য পাওয়া গেছে, এর মধ্যে ৭৯০টি লাগেজ উদ্ধার করা হয়েছে এবং বাকি ১৬টি খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা চলছে।

ধর্ম সচিব জানান, পরপর তিন বছর হাজি পাঠাতে না পারায় ৪১৫টি হজ এজেন্সির লাইসেন্স বাতিলের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। হজ এজেন্সিগুলোর কর্মদক্ষতা মূল্যায়নে সুনির্দিষ্ট সূচক ব্যবহার করা হয়েছে, যার মধ্যে হজযাত্রীদের সন্তুষ্টি, চুক্তি পরিপালন এবং সরকারি নীতিমালা অনুসরণের বিষয়গুলো দেখে তাদের এ প্লাস, এ, বি, সি ও ডি ক‍্যাটাগরিতে শ্রেণিবদ্ধ করা হবে।

প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশ দেন, এ প্লাস ক‍্যাটাগরি অর্জনকারী এজেন্সিগুলোকে চিঠি দিয়ে অভিনন্দন জানানো হবে। পাশাপাশি আগামী বছর হজে যেতে ইচ্ছুক ব্যক্তিরা যেন 'লাব্বাইক' অ্যাপ ব্যবহার করে তাদের নানা প্রশ্নের উত্তর পেতে পারেন, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, পবিত্র ওমরাহ পালনে ইচ্ছুকরাও যেন এই অ্যাপ থেকে প্রয়োজনীয় সেবা পেতে পারেন, সেদিকেও নজর দিতে হবে।

thebgbd.com/NA