ঢাকা | বঙ্গাব্দ

গাজায় ২০ মিনিটে দুটি প্রাণঘাতী বিমান হামলা চালালো ইসরায়েল, নিহত ২০

নিহত ও আহতদের দ্রুত স্থানান্তর করা হয় গাজা সিটির আল-আহলি হাসপাতালে। হাসপাতালটিতে বর্তমানে চরম বিশৃঙ্খল অবস্থা বিরাজ করছে। এক প্রত্যক্ষদর্শী ফোনে জানান, "হাসপাতালের ভেতরে অবর্ণনীয় বিশৃঙ্খলা চলছে। আহতদের সেবা দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত সরঞ্জাম নেই।"
  • অনলাইন ডেস্ক | ২৮ জুন, ২০২৫
গাজায় ২০ মিনিটে দুটি প্রাণঘাতী বিমান হামলা চালালো ইসরায়েল, নিহত ২০ ফাইল ছবি

গাজা সিটির তুফাহ্‌ এলাকায় অবস্থিত ইয়াফা স্ট্রিটে মাত্র ২০ মিনিটের ব্যবধানে দুটি প্রাণঘাতী বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। প্রথম হামলাটি একটি আবাসিক ভবনে চালানো হয়, যেখানে উড়ন্ত ধ্বংসাবশেষ ও শার্পনেলের আঘাতে বহু মানুষ আহত হন। এর কিছুক্ষণ পরেই কাছাকাছি একটি বাজারে চালানো দ্বিতীয় হামলায় ঘটনাস্থলেই ৯ জন নিহত হন।

নিহত ও আহতদের দ্রুত স্থানান্তর করা হয় গাজা সিটির আল-আহলি হাসপাতালে। হাসপাতালটিতে বর্তমানে চরম বিশৃঙ্খল অবস্থা বিরাজ করছে। এক প্রত্যক্ষদর্শী ফোনে জানান, "হাসপাতালের ভেতরে অবর্ণনীয় বিশৃঙ্খলা চলছে। আহতদের সেবা দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত সরঞ্জাম নেই।"

আল-আহলি হাসপাতালের সীমিত সক্ষমতার কারণে আহতদের মধ্যে অনেককে আশপাশের বেসরকারি ক্লিনিক কিংবা আল-শিফা হাসপাতালে স্থানান্তরের চিন্তা করা হচ্ছে।

তিন ঘণ্টার ব্যবধানে এই এলাকায় আরও ১১ জন নিহত হয়েছেন বলে জানায় স্থানীয় সূত্র। এতে ইয়াফা স্ট্রিট এবং তার আশপাশে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ জনে, যাদের মধ্যে রয়েছে একাধিক শিশু।

এছাড়া, খান ইউনুস শহর ও বুড়েইজ শরণার্থী শিবিরেও ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি ড্রোন। পুরো গাজা জুড়ে হামলার মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে গেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সূত্র। এর ফলে বেড়েছে বেসামরিক হতাহতের সংখ্যা, ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ এবং জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি।

বেসামরিক মানুষের ওপর এই হামলাকে ‘নিষ্ঠুরতা ও মানবতা-বিরোধী অপরাধ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো। পরিস্থিতি আরও অবনতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।


thebgbd.com/NIT