সাতটি উন্নত অর্থনীতির জোট জি৭ শনিবার জানিয়েছে যে তারা যুক্তরাষ্ট্রের বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর ওপর অন্যান্য দেশগুলোর আরোপিত বৈশ্বিক ন্যূনতম কর (গ্লোবাল মিনিমাম ট্যাক্স) থেকে অব্যাহতি দিতে সম্মত হয়েছে। অটোয়া থেকে এএফপি এ সংবাদ জানিয়েছে, এটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের জন্য একটি বড় কূটনৈতিক বিজয়। কারণ, তারাই এই বিষয়ে জোরালো চাপ দিয়েছিল।
(বর্তমান জি৭ সভাপতিত্বকারী দেশ কানাডা একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে যে এই চুক্তির ফলে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো একটি ‘সাইড-বাই-সাইড’ পদ্ধতির সুবিধা পাবে। যেখানে তাদের শুধুমাত্র নিজ দেশে কর দিতে হবে। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক আয়ের উপর—অন্যান্য দেশের দ্বারা আরোপিত অতিরিক্ত কোনো কর দিতে হবে না।
এই চুক্তিটি আংশিকভাবে সম্ভব হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক কর ব্যবস্থায় সাম্প্রতিক প্রস্তাবিত পরিবর্তনের কারণে, যা ট্রাম্পের স্বাক্ষরিত একটি অভ্যন্তরীণ নীতি প্রস্তাবে অন্তর্ভুক্ত—যদিও বিলটি এখনো কংগ্রেসে আলোচনারত। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই ‘সাইড-বাই-সাইড’ ব্যবস্থা ভবিষ্যতের জন্য আন্তর্জাতিক কর ব্যবস্থায় ‘বেশি স্থায়িত্ব ও নিশ্চয়তা’ এনে দিতে পারে।
২০২১ সালে প্রায় ১৪০টি দেশ একটি চুক্তিতে পৌঁছায়, যেখানে বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর ওপর কর আরোপের নীতি নির্ধারিত হয়। যা অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থার (ওইসিডি) তত্ত্বাবধানে আলোচনার মাধ্যমে গৃহীত হয়।
এই চুক্তির কড়া সমালোচনা করেন ট্রাম্প। দুইটি স্তম্ভে গঠিত এ চুক্তির মধ্যে দ্বিতীয়টি হলো একটি হলো বৈশ্বিক ন্যূনতম কর ১৫ শতাংশ। তবে এই কর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোর অব্যাহতি চূড়ান্তভাবে ওইসিডি’র অনুমোদনের উপর নির্ভরশীল।
জি৭ জানিয়েছে তারা সকল পক্ষের জন্য গ্রহণযোগ্য ও বাস্তবায়নযোগ্য একটি দ্রুত সমাধানে পৌঁছানোর অপেক্ষায় আছে।বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট ইঙ্গিত দেন, জি৭ দেশের মধ্যে একটি যৌথ সমঝোতা অর্জিত হতে যাচ্ছে। যা মার্কিন স্বার্থ রক্ষা করবে। তিনি একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতাদের প্রতি আহ্বান জানান তারা যেন ট্রাম্পের একটি সুন্দরতম বড় বিল থেকে সেকশন ৮৯৯ নামক সুরক্ষামূলক ধারাটি অপসারণ করেন।
সেকশন ৮৯৯-কে একটি ‘প্রতিশোধমূলক কর’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। যা বিদেশি মালিকানাধীন কোম্পানি ও এমন দেশের বিনিয়োগকারীদের উপর কর আরোপের অনুমতি দেয়, যারা যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোর ওপর অন্যায্য কর আরোপ করে। এই ধারা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। কারণ, এটি যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশি বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত করতে পারে।
সূত্র: এএফপি
এসজেড