ঢাকা | বঙ্গাব্দ

দু'একটি ছাড়া সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচনে অধিকাংশ দল একমত: আলী রীয়াজ

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতি চালুর বিষয়ে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল সম্মত হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি ড. আলী রীয়াজ।
  • নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৯ জুন, ২০২৫
দু'একটি ছাড়া সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচনে অধিকাংশ দল একমত: আলী রীয়াজ ছবি : সংগৃহীত।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতি চালুর বিষয়ে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল সম্মত হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি ড. আলী রীয়াজ।

রোববার (২৯ জুন) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় অধিবেশনের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব তথ্য জানান।

আলী রীয়াজ বলেন, ‌‘আজকের অধিবেশনে নির্বাচনী পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অধিকাংশ রাজনৈতিক দল প্রাপ্ত ভোটের ভিত্তিতে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণের পক্ষে মত দিয়েছে। তবে কয়েকটি দল সুস্পষ্ট আপত্তি জানিয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ গঠনেও অধিকাংশ দলের আগ্রহ রয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে ভোটগ্রহণের কাঠামোসহ নির্বাচনী পদ্ধতি নিয়ে ভবিষ্যতে আরও আলোচনা হবে।’

আলী রীয়াজ জানান, কমিশনের পক্ষ থেকে জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হলেও অনেক রাজনৈতিক দল সেটি সমর্থন করেনি। পরে কমিশন ‘সংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ কমিটি’ নামের নতুন কাঠামোর প্রস্তাব দেয়, যেখানে এনসিসির দায়-দায়িত্ব সীমিত করে কাঠামোগত পরিবর্তন আনা হয়।

কমিটির গঠনে সংসদ চালু থাকলে সদস্য হিসেবে থাকবেন—প্রধানমন্ত্রী, নিম্নকক্ষের স্পিকার, উচ্চকক্ষ প্রতিষ্ঠিত হলে তার স্পিকার, বিরোধীদলের নেতা ও অন্য বিরোধী দলের একজন প্রতিনিধি।

ড. রীয়াজ বলেন, ‘নতুন কাঠামোয় রাষ্ট্রপতির একজন প্রতিনিধির প্রস্তাব করা হয়েছে, যিনি সংসদ সদস্য হওয়ার যোগ্য, কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য নন এবং মনোনয়নের ১০ বছর আগ পর্যন্ত রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় ছিলেন না।’

এছাড়া প্রধান বিচারপতির প্রতিনিধির ক্ষেত্রে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে তিনি আপিল বিভাগের একজন বিচারপতি হবেন।

কমিটির ধারাবাহিকতা প্রসঙ্গে আলী রীয়াজ বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় কমিটি থাকবে কি না, এ নিয়ে মতভেদ রয়েছে। কেউ কেউ বলেছেন, ওই সময় এই কমিটির প্রয়োজন নেই। নির্বাচন কমিশনে নিয়োগ দেওয়ার দায়িত্ব সীমিতভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে দেওয়া যেতে পারে, তবে অন্য কমিশনগুলোতে নয়।’

তিনি জানান, এখনো যেসব দল প্রস্তাবে সম্মত হয়নি, তাদের পুনর্বিবেচনার সুযোগ রয়েছে। কমিশনের পক্ষ থেকে তাদের অনুরোধ করা হয়েছে বিষয়টি নিয়ে আবার ভাবার জন্য।

‘আশা করছি, বিরোধী দলগুলো সময় নিয়ে প্রস্তাবগুলো পর্যালোচনা করবে এবং জাতির স্বার্থে একটি বাস্তবসম্মত ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে,’ — বলেন আলী রীয়াজ।

thebgbd.com/NA