ঢাকা | বঙ্গাব্দ

সুদানে শিশু অপুষ্টির হার দ্বিগুণ

দারফুরের শিশুরা সংঘাতের কারণে অনাহারে ভুগছে এবং তাদের বাঁচাতে পারে এমন সাহায্য থেকেও তারা বিচ্ছিন্ন।
  • অনলাইন ডেস্ক | ১১ জুলাই, ২০২৫
সুদানে শিশু অপুষ্টির হার দ্বিগুণ গৃহযুদ্ধের চরম শিকার শিশুরা।

জাতিসংঘের শিশু সংস্থা ইউনিসেফ শুক্রবার জানিয়েছে, সুদানের যুদ্ধক্ষেত্র রাজ্য উত্তর দারফুরে মারাত্মক অপুষ্টিতে ভোগা শিশুর সংখ্যা গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ হয়েছে। পোর্ট সুদান থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।


২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সুদানের নিয়মিত সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) এর মধ্যে যুদ্ধে কয়েক হাজার মানুষ নিহত এবং ১ কোটি ৪০ লাখেরও বেশি লোককে তাদের বাড়িঘর থেকে বিতাড়িত হয়েছে। উত্তর দারফুর রাজ্য ও এর অবরুদ্ধ রাজধানী এল-ফাশার মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত বছর শহরটির বাইরে তিনটি বিশাল বাস্তুচ্যুতি শিবিরে দুর্ভিক্ষ ঘোষণা করা হয়।


ইউনিসেফ শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, উত্তর দারফুরে তীব্র  অপুষ্টিতে ভোগা ৪০ হাজারেরও বেশি শিশুকে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে মাসের মধ্যে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় দ্বিগুণ। 


ইউনিসেফের সুদান প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট বলেছেন, ‘দারফুরের শিশুরা সংঘাতের কারণে অনাহারে ভুগছে এবং তাদের বাঁচাতে পারে এমন সাহায্য থেকেও তারা বিচ্ছিন্ন’। পাঁচটি দারফুর রাজ্য জুড়ে, ২০২৪ সালের একই সময়ের তুলনায় বছরের প্রথম পাঁচ মাসে খুবই তীব্র অপুষ্টির ঘটনা ৪৬ শতাংশ বেড়েছে।


সাম্প্রতিক মাসগুলোতে এল-ফাশারের নিয়ন্ত্রণের জন্য উভয়পক্ষের মধ্যে যুদ্ধ তীব্রতর হয়েছে। এটি সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকা দারফুরের শেষ প্রধান শহর। হাসপাতালগুলো গোলাবর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সাহায্য কনভয় আক্রমণ করা হয়েছে এবং উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মানবিক সাহায্যের প্রবেশাধিকার এখন প্রায় সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে গেছে।


জাতিসংঘ চলতি সপ্তাহে বলেছে, এল-ফাশারে পাঁচ বছরের কম বয়সী প্রায় ৪০ শতাংশ শিশু তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে, যার মধ্যে ১১ শতাংশ অতি তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে। ইউনিসেফ সাম্প্রতিক অন্যান্য যুদ্ধক্ষেত্রেও অপুষ্টির উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির কথা জানিয়েছে। পার্শ্ববর্তী উত্তর কর্দোফান রাজ্যে তীব্র অপুষ্টি ৭০ শতাংশেরও বেশি, রাজধানী খার্তুমে ১৭৪ শতাংশ ও কেন্দ্রীয় রাজ্য আল-জাজিরাতে প্রায় সাতগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।


চলতি বছরের শুরুতে সেনাবাহিনী খার্তুম ও আল-জাজিরা পুনর্দখল করে। কিন্তু দেশটি কার্যকরভাবে বিভক্ত। দেশটির পূর্বাঞ্চল, উত্তরাঞ্চল ও কেন্দ্র সেনাবাহিনীর দখলে রয়েছে আর আরএসএফ প্রায় পুরো দারফুর ও দক্ষিণাঞ্চলের কিছু অংশ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।


সূত্র: এএফপি


এসজেড