যেকোনো সংস্করণে শ্রীলঙ্কার মাটিতে প্রথম সিরিজ জিতল বাংলাদেশ। বুধবার (১৬ জুলাই) শেষ ম্যাচে লঙ্কানদের ৮ উইকেটে হারিয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে টাইগাররা। তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে বড় একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে টাইগাররা। মেহেদী হাসান মিরাজকে বসিয়ে এই ম্যাচে খেলানো হয়েছে মেহেদী হাসানকে। আর তিনিই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছেন।
কলম্বোতে প্রথমে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ১৩২ রান করতে পারে স্বাগতিকরা। শ্রীলঙ্কার ৪ উইকেটেই তুলে নিয়েছেন মেহেদী হাসান। ম্যাচ সেরাও হয়েছেন এই অফ স্পিনার। ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনে লিটন বলেছেন, তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে আর কেউ না খেললেও খেলতেন মেহেদী হাসান।
লিটন বলেন, 'আমার বিশ্বাস ছিল, কলম্বোর উইকেটের জন্য ওর (মেহেদী হাসান) বোলিংটা উপযুক্ত হবে। তার মানে এই নয় যে সে অন্য জায়গায় ভালো বোলিং করবে না। এই ম্যাচে আমার পরিকল্পনাই ছিল, আর কেউ খেলুক না খেলুক, মেহেদী খেলবে। যদি উইকেট বোলিং সহায়ক হয় আমাদের সব ম্যাচে মেহেদী খেলবে, ব্যাটিং সহায়ক হলে মিরাজ খেলবে।’
এদিকে সিরিজের প্রথম ম্যাচ হারের পর দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। এই ঘুরে দাঁড়ানোর রহস্যও জানিয়েছেন টাইগার অধিনায়ক।
লিটন বলেন, ‘মানসিকভাবে পিছিয়ে কখনও ছিলাম না। আপনি প্রতিদিন আপনার অফিসেও খুব একটা ভালো ফিল করবেন না। ক্রিকেটটা মাঝেমধ্যে একটু ফিলিংসেরও দরকার আছে। আমার মনে হয়, যেহেতু রান পাচ্ছিলাম না বড় ইনিংসে। চেষ্টা করেছি শতভাগ দেয়ার। তিন ফরম্যাটে মাইন্ডসেট ভিন্ন থাকে। এই ফরম্যাটে অনেক দিন ধরে খেলছি, কীভাবে খেলতে হয়, দল কীভাবে আগায়ে নিতে হয়। এই ফরম্যাটে কখনও আমার সেই চাপটা ছিল না যে আমি আগে কিছু করে আসি নাই। সবসময় মনে হয়েছে, আমরা তো পাকিস্তান সিরিজ খেলেছি। হয়তো বা সিরিজ জিততে পারিনি, তবে সবাই মোটামুটি ভালো ক্রিকেট খেলেছি।’
টাইগার অধিনায়ক আরও বলেন, ‘সবসময় চেষ্টা থাকে শতভাগ দেয়ার। অনুশীলনও করি। বিশ্বাস সবসময় আছে। ১০ বছর ধরে ক্রিকেট খেলছি। যেহেতু অনেক দিন ধরে রান করতেসিলাম না। চেষ্টা ছিল সুযোগ কখন আসব। সেই সুযোগ কীভাবে কাজে লাগাতে পারি। দ্বিতীয় ম্যাচ অনেক প্লাস পয়েন্ট ছিল। দল হিসেবে যখন ম্যাচ জিতবেন, আমার মনে হয় এমনিই একটা আলাদা চেহারা চেঞ্জ হয়ে যায়। দ্বিতীয় ম্যাচ অনেক বড় ব্যবধানে জেতা। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ৮৩ রানে জেতা সবসময় বড় অর্জন। আত্মবিশ্বাস সবার মধ্যেই ছিল, দল হিসেবে। আমরা বিশ্বাস করি আমরা ভালো ক্রিকেট খেললে জিততে পারব।’
লঙ্কানদের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের পর, বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) দেশে আসবে বাংলাদেশ। এরই মধ্যে বাংলাদেশের পরবর্তী সিরিজের প্রতিপক্ষ পাকিস্তান ঢাকায় পা রেখেছে। আগামী ২০ জুলাই থেকে শুরু হবে বাংলাদেশ-পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি সিরিজ।
thebgbd.com/NIT