ঢাকা | বঙ্গাব্দ

কাজাখস্তানে রুশ পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র

বালখাশ লেকের তীরে নির্মিতব্য প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির নির্মাণকাজ শেষ হতে বেশ কয়েক বছর লাগবে।
  • অনলাইন ডেস্ক | ০৯ আগস্ট, ২০২৫
কাজাখস্তানে রুশ পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রে।

বিশ্বের শীর্ষ ইউরেনিয়াম উৎপাদনকারী দেশ কাজাখস্তানে শুক্রবার প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের কাজ শুরু করেছে রাশিয়া। আলমাতি থেকে এএফপি জানায়, মধ্য এশিয়ার দেশটিতে প্রভাব বিস্তারের প্রতিযোগিতা করছে মস্কো, বেইজিং ও ইউরোপ।


বহু বছর ধরে এই অঞ্চলে রাশিয়ার প্রভাব রয়েছে এবং মস্কো তাদের শীর্ষস্থান ধরে রাখার চেষ্টা করছে। অন্যদিকে চীন তাদের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ এর অংশ হিসেবে কোটি কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে। কাজাখস্তান ও রাশিয়ার পরমাণু সংস্থা যৌথ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য সর্বোত্তম স্থান নির্বাচন ও প্রকল্পের ডক্যুমেন্টেশন প্রস্তুত করতে ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভে শুরু করেছে।


কাজাখস্তানের পরমাণু সংস্থার প্রধান আলমাস আদম সাতকালিয়েভ বলেন, ‘পরমাণু প্রকল্পটি কাজাখস্তানের কৌশলগত পছন্দ। এটি এই এলাকা ও সারাদেশের জন্য দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির চালিকাশক্তি হবে।’ কাজাখস্তান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সে দেশে আরো দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য প্রস্তুত রয়েছে চীন। এ ব্যাপারে চলতি বছরের শেষের দিকে বিস্তারিত জানানো হবে।


বিশ্বের মোট চাহিদার ৪৩ শতাংশ ইউরেনিয়াম সরবরাহ করে কাজাখস্তান। এছাড়া দেশটি ইউরোপীয় ইউনিয়নে কাঁচা ইউরেনিয়াম সরবরাহে তৃতীয় বৃহত্তম সরবরাহকারী। তবে দেশটির বাসাবাড়িতে ব্যবহারের জন্য পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনে সমস্যা হচ্ছে। সোভিয়েত আমলে পারমাণবিক পরীক্ষায় ১৫ লাখ মানুষ তেজস্ক্রিয়তার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে দেশটিতে পারমাণবিক বিদ্যুতের বিষয়টি অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয়।


বালখাশ লেকের তীরে অর্ধ-পরিত্যক্ত উলকেন গ্রামের কাছে নির্মিতব্য প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির নির্মাণকাজ শেষ হতে বেশ কয়েক বছর সময় লাগবে। রাশিয়ার পরমাণু সংস্থা রোসাটম জানিয়েছে, পরমাণু চুল্লির আয়ুষ্কাল হবে ৬০ বছর। চাইলে মেয়াদ আরো ২০ বছর বাড়ানোর বিকল্প থাকবে।


সূত্র: এএফপি


এসজেড