ঢাকা | বঙ্গাব্দ

সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে থাই সেনা আহত

থাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কম্বোডিয়ার ওপর নতুন স্থলমাইন স্থাপনের অভিযোগ এনে বলেছে, তারা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবাদ জানাবে।
  • অনলাইন ডেস্ক | ১০ আগস্ট, ২০২৫
সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে থাই সেনা আহত সীমান্ত নিয়ে দুই দশের বিরোধ বহুদিনের।

কম্বোডিয়া সীমান্তের কাছে স্থল মাইন বিষ্ফোরণে শনিবার টহলরত তিন থাই সেনা আহত হয়েছে। কয়েক দশকের ভয়াবহ সংঘর্ষের অবসান ঘটিয়ে উভয় পক্ষ তাদের মধ্যে যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর বিষয়ে সম্মত হওয়ার ক’দিন পরই এই বিস্ফোরণ ঘটে। ব্যাংকক থেকে এএফপি এ খবর জানায়।


রয়্যাল থাই মিলিটারি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সকাল ১০টা নাগাদ সিসাকেট প্রদেশে এ বিস্ফোরণ ঘটে। একজন সেনার পায়ে গুরুতর আঘাত লেগেছে, অন্যজনের পিঠে ও বাহুতে আঘাত লাগে এবং তৃতীয়জনের কানে তীব্র চাপের আঘাত লেগে আহত হন।


প্রাচীন সীমান্ত মন্দির নিয়ে দীর্ঘস্থায়ী বিরোধের ফলে পাঁচ দিনের সংঘর্ষে কমপক্ষে ৪৩ জন নিহত হওয়ার পর এই ঘটনা ঘটে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আহ্বানের পর ২৯ জুলাই যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে জেট, কামান, রকেট এবং পদাতিক বাহিনীর সংঘর্ষের সমাপ্তি ঘটে। বৃহস্পতিবার কুয়ালালামপুরে প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের একটি বৈঠক যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর চুক্তির মাধ্যমে শেষ হয়।


শনিবারের বিস্ফোরণের পর, থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কম্বোডিয়ার ওপর নতুন স্থলমাইন স্থাপনের অভিযোগ এনেছে এবং বলেছে, তারা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবাদ জানাবে। তবে সরকারি সংস্থা কম্বোডিয়ান মাইন অ্যাকশন অ্যান্ড ভিকটিম অ্যাসিস্ট্যান্স অথরিটি, একটি বিবৃতি জারি করে নতুন কোনও মাইন স্থাপনের কথা অস্বীকার করেছে।


থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাই শনিবার প্রতিবেশী সুরিন প্রদেশে ছিলেন। তিনি আহত সেনাদের পূর্ণ চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন। জুলাই মাসে ৮০০ কিলোমিটার সীমান্তে সংঘর্ষের ফলে সীমান্তের উভয় পাশে তিন লক্ষাধিক মানুষ যুদ্ধক্ষেত্র ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।


সূত্র: এএফপি


এসজেড