হুঁশিয়ারি, অভিযানেও বন্ধ হয়নি নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবহার। অথচ গেল জুলাই পর্যন্ত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে ৫ শতাধিক। সুপারশপে পলিথিন বন্ধ হলেও বেড়েছে ক্ষতিকারক ও নিষিদ্ধ পলিপ্রপিলিনের তৈরি টিস্যু ব্যাগের ব্যবহার। দীর্ঘদিনেও সহজলভ্য বিকল্প তৈরি করতে না পারায় থামানো যাচ্ছে না এ নিষিদ্ধ পণ্য, এমন পর্যবেক্ষণই তুলে ধরছেন ব্যবহারকারী ও বিশ্লেষকরা।
গেল বছর আগস্টে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতাগ্রহণের পরপরই পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সাফ জানিয়ে দেন, ২৩ বছর আগেই নেয়া পলিথিন নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে এবার বদ্ধপরিকর তারা। হুঁশিয়ারি দেয়া হয় অভিযানের, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধেরও।
ঘোষণা অনুযায়ী, কারখানা ও বাজারে অভিযানও চালায় সরকার। পরিবেশ অধিদফতরের তথ্য, গেল বছরের নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ৪ আগস্ট পর্যন্ত ৫ শতাধিক মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে, যেখানে ৭১ লাখ টাকা জরিমানা ও ১৬টি পলিথিন কারখানা সিলগালা করা হয়েছে।
অভিযান ও জরিমানায় কিছুটা আশার আলো দেখা গেছে সুপারশপে। সরাসরি বন্ধ হয়েছে পলিথিনের ব্যবহার। তবে পলিথিনের মতো ক্ষতিকারক ও নিষিদ্ধ পলিপ্রপিলিনের তৈরি টিস্যু ব্যাগ এখনও ব্যবহার হচ্ছে দেদারসে।
প্লাস্টিক খাতের শীর্ষ সংগঠন বিপিজিএমইএ বলছে, ক্ষতি কমাতে উন্নত বিশ্বের মতো পলিথিন ব্যবহার বন্ধ নয় বরং ব্যবস্থাপনায় জোর দিতে হবে।
বিপিজিএমইএ’র সভাপতি শামীম আহমেদ সময় সংবাদকে বলেন,
আমরা ভুল পথে যাচ্ছে। কারণ পলিথিনের শপিংব্যাগ সমস্যা না। সমস্যা হচ্ছে, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন করতে না পারলে এ সমস্যার সমাধান আসবে না।
মাটিতে না মিশলেও মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে মিশে যাওয়া এই ক্ষতিকারক পণ্যের ব্যবহার বন্ধের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে যাওয়ার আগে গবেষণা দরকার ছিল বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। পরিবেশ সুরক্ষায় বাজারে সহজলভ্য ও যুৎসই বিকল্পের সংস্থান সরকারকেই করার তাগিদ দিচ্ছেন তারা।
বিভিন্ন সংস্থার গবেষণা বলছে, রাজধানীতে প্রতিদিন ৭০০ টন প্লাস্টিক বর্জ্য তৈরি হয়, যা মোট বর্জ্যের ১০ শতাংশের বেশি।
thebgbd.com/NIT