গাজীপুরে প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও গলা কেটে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যায় সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগে আরেক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। গতকাল সোমবার রাতে রাজধানী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার নাম তুহিন।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (অপরাধ-উত্তর) মো. রবিউল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তুহিন হত্যায় সরাসরি অংশ নেওয়াদের একজন আরমান। সিসিটিভি ফুটেজে নীল রঙের শার্ট পরিহিত যাকে দেখা গেছে, সে হলো এই আরমান। সোমবার রাতে তাকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সাংবাদিক তুহিন হত্যার এ ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ দেখে শনাক্ত হওয়া মুলহোতাসহ ৬ জনকে গাজীপুর মহানগর পুলিশ, গাজীপুর মহানগর জেলার বিভিন্ন এলাকা ও রাজধানীর তুরাগ থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে। এ ছাড়া সাংবাদিক তুহিন হত্যার ঘটনায় সর্বশেষ তুহিনসহ মোট ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এ নিয়ে তুহিন হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে মোট ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এর আগে সাংবাদিক তুহিন হত্যার ঘটনার সময়ের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পরিচয় শনাক্ত করার পর গত শুক্রবার রাতে গাজীপুর মহানগরীর শিববাড়ি এলাকা থেকে স্বাধীন নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে। র্যাব ব পরে আরেক আসামি শহিদুলকে কিশোরগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
প্রসঙ্গত, গত ৭ আগস্ট গাজীপুর মহানগরীর ব্যস্ততম চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় গত বৃহস্পতিবার রাতে একটি মার্কেটের ভেতরে প্রকাশ্যে সাংবাদিক তুহিনকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়। এ সময় তার মোবাইল ফোনটিও ছিনিয়ে নেওয়া হয়। নিহত সাংবাদিক তুহিন (৩৮) দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার গাজীপুরের স্টাফ রিপোর্টার ছিলেন। তিনি ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া থানার ভাটিপাড়া গ্রামের হাসান জামালের ছেলে। তিনি স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে গাজীপুর মহানগরীর চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।
হত্যাকাণ্ডের পর তার ভাই মো. সেলিম বাদী হয়ে মহানগরীর বাসন থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ে করেন। পরে পুলিশ ঘটনার সময়ের একটি সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে আসামিদের পরিচয় শনাক্ত করে। পরে জিএমপি ও র্যাব ব এ ঘটনায় গোট ৯ জনকে গ্রেপ্তার করে।
thebgbd.com/NIT