সাংবাদিক তুহিনকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যার চাঞ্চল্যকর ঘটনায় সরাসরি জড়িত প্রধান আসামি রফিকুল ইসলাম আরমানকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১। এর মধ্য দিয়ে এই মামলার এজাহারভুক্ত আটজন আসামির সবাই গ্রেপ্তার হলেন। সোমবার (১১ আগস্ট) রাতে ঢাকার বিমানবন্দর এলাকা থেকে আরমানকে আটক করা হয় এবং পরে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার রবিউল হাসান গণমাধ্যমকে জানান, সিসিটিভি ফুটেজে নীল শার্ট পরা যে ব্যক্তিকে দেখা গেছে, তিনিই হলেন আরমান, যিনি তুহিন হত্যায় সরাসরি অংশ নিয়েছিলেন। বেশ কিছুদিন ধরেই পুলিশ তাকে খুঁজছিল।
এর আগে, গত শনিবার গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) কমিশনার ড. মো. নাজমুল করিম খান এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান যে, সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে এই হত্যাকাণ্ডে সরাসরি আটজনের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তখন সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও আরমান পলাতক ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় একদল দুর্বৃত্ত ধারালো অস্ত্র নিয়ে সাংবাদিক তুহিনকে ধাওয়া করে। তিনি একটি চায়ের দোকানে আশ্রয় নিলেও দুর্বৃত্তরা সেখানে ঢুকে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে। এই হত্যাকাণ্ডের সিসিটিভি ফুটেজ দ্রুত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
পরদিন শুক্রবার সকালে নিহত তুহিনের বড় ভাই সেলিম বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার বাসিন্দা আসাদুজ্জামান তুহিন পরিবারসহ গাজীপুর নগরের চৌরাস্তা এলাকায় থাকতেন। র্যাব, পুলিশ এবং পিবিআই এই ঘটনার তদন্তে আলাদাভাবে কাজ করছে।
thebgbd.com/NA