আইভরি কোস্টে ‘সন্ত্রাসী’ অপরাধের অভিযোগে দেশটির প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট লরেন্ট বাগবোর বিরোধী দলের সদস্যসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে এই মাসের শুরুতে অস্থিরতার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে। দেশটির প্রসিকিউটররা সোমবার জানিয়েছেন, তারা অস্থিরতার সঙ্গে জড়িত। আবিদজান থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
প্রসিকিউটর ওমার ব্রামান কোনে এক বিবৃতিতে বলেছেন, একদল লোক লাঠি, আগ্নেয়াস্ত্র এবং ককটেলসহ ১ আগস্ট রাতে আবিদজান শহরতলীতে একটি গণপরিবহন বাসে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং একটি পুলিশের গাড়িতে হামলা চালায়। ওই ঘটনায় নয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যাদের মধ্যে অনেকেই বাগবোর আফ্রিকান পিপলস পার্টি কোট ডি'আইভোয়া (পিপিএ-সিআই) এর সদস্য। গ্রেপ্তারকৃতরা ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে।
প্রসিকিউটর আরও বলেন, ‘বিভিন্ন শুনানিতে, তারা প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লিদা কৌসি মোইস এবং অবসরপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত কোনে বোবাকারকে এই সহিংসতার প্ররোচনাকারী হিসাবে উল্লেখ করেছেন’। পুলিশ সপ্তাহান্তে এই দুই ব্যক্তিকে হেফাজতে নিয়েছে।
কোনে বলেছেন, সন্দেহভাজনদের লক্ষ্য ছিল প্রেসিডেন্ট আলাসানে ওয়াত্তারা কর্তৃক অক্টোবরের নির্বাচনে চতুর্থ মেয়াদে প্রার্থী হওয়ার বিতর্কিত ঘোষণার পর ‘সন্ত্রাস’ এবং অস্থিরতা ছড়িয়ে দেওয়া। কোনে আরও বলেন, ১১ জনের বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, বিদ্রোহে অংশগ্রহণ, একটি গাড়ির ইচ্ছাকৃত ক্ষতি এবং অন্যদের গাড়িতে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ আনা হয়েছে।’
রোববার, পিপিএ-সিআই ‘ভীতি প্রদর্শন ও দমন-পীড়নের অভিযান’ এবং ‘বিচারিক ও রাজনৈতিক হয়রানির’ নিন্দা জানিয়েছে। তবে কোনে জোর দিয়ে বলেছেন, গ্রেপ্তারের পিছনে কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই।
পশ্চিম আফ্রিকার দেশটি ২৫শে অক্টোবরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তিন মাসেরও কম সময়ের মধ্যে একটি উত্তেজনাপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশের মুখোমুখি হচ্ছে। বিশেষ করে আদালতের রায়ের কারণে, বাগবো সহ বেশ কয়েকজন বিরোধী ব্যক্তিত্বকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
শনিবার, হাজার হাজার বিরোধী সমর্থক ইয়োপোগনের রাস্তায় শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ করেছেন। যেখানে কথিত হামলার ঘটনা ঘটেছে। ওয়াত্তারার প্রার্থীতার বিরুদ্ধে এবং তাদের নেতাদের ভোটার তালিকায় পুনর্বহালের দাবিতে এ বিক্ষোভ করে।
সূত্র: এএ্ফপি
এসজেড