বলিভিয়ায় রোববার ভোটগ্রহণ চলছে। গভীর অর্থনৈতিক সংকটে নিমজ্জিত দেশটিতে ডানপন্থীরা ২০ বছরের মধ্যে প্রথমা ক্ষমতায় আসছেন বলে মনে করা হচ্ছে। আন্দিয়ান দেশটি এক প্রজন্মের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ সংকটের সঙ্গে লড়াই করছে। সেখানে বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতি প্রায় ২৫ শতাংশ এবং ডলার ও জ্বালানির তীব্র ঘাটতি দেখা দিয়েছে। লাপাজ থেকে এএফপি এ খবর জানায়।
জরিপে দেখা গেছে ভোটাররা ক্ষমতাসীন মুভমেন্ট টুওয়ার্ডস সোশালিজম (এমএএস) পার্টির প্রতি সমর্থন হারিয়েছেন। দলটির শীর্ষ নেতা ইভো মোরালেস ২০০৫ সালে বলিভিয়ার প্রথম আদিবাসী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে ক্ষমতায় রয়েছেন। জরিপে দেখা গেছে, ৬৬ বছর বয়সী ডোরিয়া মেডিনা এবং ৬৫ বছর বয়সী কুইরোগা প্রায় ২০ শতাংশ ভোট পেয়েছেন, যেখানে বামপন্থী সিনেট সভাপতি আন্দ্রোনিকো রদ্রিগেজসহ আরও ছয়জন প্রার্থী অনেক পিছিয়ে রয়েছেন।
যদি কোনও প্রার্থী নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পান, তাহলে ১৯ অক্টোবর দ্বিতীয় দফা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। দুই অগ্রণী প্রার্থীই নির্বাচিত হলে বলিভিয়ার বৃহৎ-রাষ্ট্রীয় অর্থনৈতিক মডেলে আমূল পরিবর্তন আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তারা সরকারি ব্যয় কমাতে, দেশকে বিদেশী বিনিয়োগের জন্য উন্মুক্ত করতে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে চায়, যা স্ব-ঘোষিত পুঁজিবাদ-বিরোধী সাম্রাজ্যবাদ-বিরোধী লড়াইরত মোরালেসের অধীনে হ্রাস পায়।
৬৩ বছর বয়সী আদিবাসী বিক্রেতা মার্সেলা সিরপা, আগে ঐতিহ্যগতভাবে এমএএস দলের পক্ষে ভোট দেন, তবে তিনি এবার কুইরোগাকে সমর্থন দিয়েছেন। রোববার বলিভিয়ার দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভার সকল আসনেও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
সূত্র: এএফপি
এসজেড