ঢাকা | বঙ্গাব্দ

নিজ শহর মাশহাদে আজ দাফন করা হবে রাইসিকে

ইরানের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই শহরের রাস্তায় বিশেষ করে ইমাম রেজা মাজারের চারপাশ জুড়ে রাইসির বড় বড় ছবি, কালো পতাকা এবং শিয়াদের নানা প্রতীক টানানো হয়েছে।
  • | ২৩ মে, ২০২৪
নিজ শহর মাশহাদে আজ দাফন করা হবে রাইসিকে রাইসির জানাজা

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত ইরানি প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির দাফন আজ। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) নিজ শহর মাশহাদে জানাজা শেষে দাফন করা হবে তাকে। হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় কয়েকদিন আগে তিনি নিহত হন।

একই দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ানসহ উচ্চপদস্থ আরও কয়েকজন কর্মকর্তা। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।

প্রতিবদনে বলা হয়েছে, হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বৃহস্পতিবার তার নিজ শহরে দাফন করা হবে। ৬৩ বছর বয়সী সদ্য প্রয়াত এই প্রেসিডেন্টের জন্ম ও বেড়ে ওঠা ইরানের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় শহর মাশহাদে।

বৃহস্পতিবার এই শহরের শিয়াদের মূল সমাধি ইমাম রেজার পবিত্র মাজারে তাকে দাফন করা হবে। বুধবার ইরানের সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে মাশহাদের কর্মকর্তাদের দাফনের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিতে দেখা গেছে।

এদিকে ইরানের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই শহরের রাস্তায় বিশেষ করে ইমাম রেজা মাজারের চারপাশ জুড়ে রাইসির বড় বড় ছবি, কালো পতাকা এবং শিয়াদের নানা প্রতীক টানানো হয়েছে।

এর আগে গত মঙ্গলবার ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের রাজধানী তাবরিজে নিহত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে হাজারো শোকার্ত মানুষ শামিল হন। পরে তাবরিজ থেকে রাইসি ও তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ানের মরদেহ ইরানের মধ্যাঞ্চলের ঐতিহাসিক কোম শহরে নেওয়া হয়। সেখানেও তাদের জানাজা হয়।

বর্ষীয়ান এই নেতাকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানাতে দেশটির রাজধানী তেহরানে ঢল নামে লাখো মানুষের। সে সময় তেহরানে ৫০ দেশের ৬৮ জন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা মরদেহের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এতে অংশ নেন কাতার, ইরাক, পাকিস্তান ও সিরিয়া, তুর্কমেনিস্তানের জাতীয় নেতাসহ বিশিষ্টজনেরা।

এরপর রাইসিসহ নিহতদের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় আজাদ স্কয়ারে। শ্রদ্ধা জানাতে দিনভর সেখানেই রাখা হয় তাদের। পরে রাইসির প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোয়ান, কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার, রাষ্ট্রপ্রধান ও শীর্ষ কর্মকর্তারা।