ঢাকা | বঙ্গাব্দ

কমলার ছেড়ে যাওয়া বাড়িতে আরেক ভারতীয়!

২০২২ সালে ভান্স সিনেটর নির্বাচিত হন। এর নেপথ্যে ঊষার কঠিন পরিশ্রম রয়েছে বলে স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি।
  • | ১১ নভেম্বর, ২০২৪
কমলার ছেড়ে যাওয়া বাড়িতে আরেক ভারতীয়! ঊষা চিলুকুরি ভান্স

ভারতীয় বংশোদ্ভূত বর্তমান মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের ছেড়ে যাওয়া বাসভবনে আসছেন নবনির্বাচিত ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স ও তার ভারতীয় বংশোদ্ভূত স্ত্রী ঊষা চিলুকুরি ভান্স। ১৯৮৬ সালে জন্ম ঊষার। তার বাবা ও মা দু’জনেই উচ্চশিক্ষিত। কর্মসূত্রে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান তারা। ঊষার বাবা একজন ইঞ্জিনিয়ার এবং মা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক৷ প্রায় ৪০ বছর আগে তার পূর্বপুরুষেরা ভারত ছেড়ে চলে যান। বছর ৩৮ বয়সী ঊষার শিকড় রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশে। যদিও তার জন্ম, বেড়ে ওঠা, পড়াশোনা- সবই আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ার সান দিয়েগোতে। 


ভারতের সঙ্গে তার যোগসূত্র পিতৃসূত্রে। তার বাবার জন্ম অন্ধ্রপ্রদেশের ছোট্ট গ্রামে। যদিও সেই গ্রামে কখনও যাননি ঊষা। খুব শিগগিরই এক নম্বর অবজারভেটরি সার্কলের বাসিন্দা হতে চলেছেন ভান্স দম্পতি। চার বছর ধরে যেখানে বাস করতেন সে দেশের প্রথম অশ্বেতাঙ্গ ও নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিস। কমলা ওই বাসভবন ছেড়ে দেওয়ার পর আরও এক ভারতীয় বংশোদ্ভূতের পা পড়বে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্টের বাসভবনে।


ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে স্নাতক সম্পন্ন করেন ঊষা। পরে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনে স্নাতকোত্তর করেন। এর পর তিনি ইয়েল ল স্কুলে যোগ দেন। সেখানেই আইন পড়তে আসেন  যুক্তরাষ্ট্রে ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া জেডি ভান্স। দুই ভিন্ন মেরু থেকে উঠে আসা দুই ব্যক্তির আলাপ জমতে অবশ্য বেশি সময় লাগেনি। আলাপ থেকে প্রেম, তার পর বিয়ে। ২০১৪ সালে হিন্দু রীতি মেনেই জেডি ভান্স ও ঊষা চিলুকুরির চার হাত এক হয়। এই দম্পতির তিন সন্তান রয়েছে। ইওয়ান, বিবেক ও মিরাবেল।


স্নাতক স্তরের পড়াশোনা শেষ করে আইনে ডিগ্রি অর্জন করেন ঊষা। এর পর বেশ কয়েক বছর কর্পোরেট দুনিয়ার আইনজীবী হিসাবে কাজ করেন। আমেরিকার সুপ্রিম কোর্টের দু’জন প্রধান বিচারপতির সহকারী হিসাবেও কাজ করেছেন তিনি। ভান্সের সঙ্গে ঊষার যখন আলাপ, তখন তিনি ছিলেন ঘোষিত ডেমোক্র্যাট। তার আগেও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন ঊষা বামপন্থী এবং উদারপন্থী সংগঠনগুলির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ৷ ২০১৪ সালে ডেমোক্র্যাটিক শিবিরে যোগ দেন। ভান্সকে বিয়ের পর ধীরে ধীরে তার রাজনৈতিক মতাদর্শে পরিবর্তন আসে। ২০১৮ সালে রিপাবলিকান পার্টিতে নাম নথিভুক্ত করেন তিনি।


২০২২ সালে ভান্স সিনেটর নির্বাচিত হন। এর নেপথ্যে ঊষার কঠিন পরিশ্রম রয়েছে বলে স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। কারণ সেই সময় তিনি ভান্সের নির্বাচনী প্রচারগুলির দায়িত্বভার সামলেছেন। সম্প্রতি ভান্স একটি আলোচনা সভায় ঊষাকে তার ‘তাত্ত্বিক গুরু’ এবং ‘পথপ্রদর্শক’ হিসাবে উল্লেখ করেন।