বর্তমান তামাকজাত দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে কিছু দুর্বলতা থাকায় শতভাগ ধুমপানমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। সরকারের চলতি মেয়াদেই তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করার কথা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তামাক ব্যবহারজনিত মৃত্যুরোধ ও ক্ষয়ক্ষতি কমানোর পাশাপাশি জনস্বাস্থ্য রক্ষায় সংশোধনী আনার কথাও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের প্রতিটি রোগী কেমোথেরাপি গ্রহণ করছেন । অনেকের রেডিওথেরাপিরও প্রয়োজন পড়ছে।
সম্প্রতি এই প্রতিষ্ঠানের গবেষণায় উঠে এসেছে, হাসপাতালে আসা রোগীদের মধ্যে ফুসফুসের ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যাই বেশি। আর এজন্য প্রধানত দায়ী ধূমপানসহ তামাকের ব্যবহার। হাসপাতালটিতে ভর্তি ক্যান্সার আক্রান্ত পুরুষদের ৭১ শতাংশই ধূমপায়ী আর বাকী ২৫ শতাংশ কোন না কোন সময় ধূমপায়ী ছিলেন।
২০১৩ সালে পাশ হওয়ায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটি কিছু দুর্বলতার কারণে তা পুরাপুরি বাস্তবায়ন হচ্ছে না। এজন্য এবারের সংশোধনীতে পাবলিক প্লেসে ধূমপান পুরোপুরি নিষিদ্ধের প্রস্তাব করা হয়েছে। থাকবে না ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান স্মোকিং জোনও।
তামাকজাত পণ্যের মোড়ক প্রদর্শন ৯০ শতাংশ জুড়ে থাকবে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তা। সিএসআর বা সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচিতে তামাক কোম্পানির অংশগ্রহণ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করার প্রস্তাবও করা হয়েছে।
বন ও পরিবেশ মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী জানান, অন্য কোনো আইনের সাথে এটা সাংঘর্ষিক কি না বা সংজ্ঞা নিয়ে কোনো সমস্যা আছে কি না, তারপর অন্য আইনের ওপর এ আইন প্রাধান্য পাবে কি না- এরকম কিছু কারিগরি পদক্ষেপ এখনও বাকি। তবে যত দ্রুত সম্ভব এ আইনটি নিয়ে আসার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটির ২০১৮ সালের এক গবেষণা অনুযায়ী, তামাকজনিত রোগ, পুঙ্গত্ব ও মৃত্যুজনিত বছরে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৩০ হাজার কোটি টাকার বেশি।