দেশে প্রথমবারের মতো হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপি) আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তবে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। সচেতনতা ও সতর্কতা অবলম্বন করলে ভাইরাসটি প্রতিরোধ করা সম্ভব।
বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) এক বিশেষ সেমিনারে বিশেষজ্ঞরা বলেন, এই ভাইরাস সাধারণত মানুষের শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায় এবং এটি মারাত্মক নয়। তবে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি রোগ, সিওপিডি, অ্যাজমা এবং ক্যান্সারের মতো জটিল রোগে আক্রান্তদের বিশেষ সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ভাইরাসটি আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি-কাশির ড্রপলেটের মাধ্যমে ছড়ায়। এটি ঠেকাতে মাস্ক পরা, নিয়মিত হাত ধোয়া, জনসমাগম এড়িয়ে চলা এবং হাঁচি-কাশির সময় টিস্যু ব্যবহার করা বা কনুই ভাঁজ করে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানান, শীতকাল ও বসন্তকালে এর সংক্রমণ বেশি দেখা যায়।
চিকিৎসকরা বলেন, ভাইরাসটি করোনা বা কোভিডের মতোই ছড়ায়। তবে এ নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে নিয়ম মেনে চললে এটি প্রতিরোধ সম্ভব। আক্রান্তদের লক্ষণভিত্তিক চিকিৎসা এবং পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের মাধ্যমেই সুস্থ হওয়া যায়। বিএসএমএমইউতে এই ভাইরাসের শনাক্তকরণ ও চিকিৎসার সকল প্রস্তুতি রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা আরও বলেন, এইচএমপি নিয়ে আতঙ্ক নয়, বরং জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। নিয়মিত সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, অসুস্থ হলে ঘরে থাকা এবং আক্রান্ত ব্যক্তিদের কাছ থেকে দূরে থাকা অত্যন্ত জরুরি। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম এমন ব্যক্তিদের বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে।
thebgbd.com/NA